সুশিক্ষিত জনপ্রতিনিধি তরুণ ভোটারদের প্রত্যাশা… !

ঢাকা প্রতিনিধি: দেশের মোট ভোটারের এক চতুর্থাংশই তরুণ, যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সৎ, দক্ষ ও সুশিক্ষিত জনপ্রতিনিধি দেখতে চান। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি বর্তমান রাজনীতির সংস্কার করবে এমন প্রার্থীকেই নির্বাচিত করতে চান তরুণরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতি সংস্কারের পাশাপাশি তরুণদেরও রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর নির্বাচনকে সামনে রেখে পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সব জায়গায় এখন আলোচনার ঝড়। এ নিয়ে ভাবছেন দেশের নতুন ও তরুণ ভোটাররা। আগামী নির্বাচনে যাদের ভোট গুরুত্ব পাবে নতুন সরকার গঠনে।

তরুণরা বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা অনেক বয়স্ক হয়ে থাকে। যদি তরুণদের মধ্যে সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হয়। তাহলে তারা তরুণদের নিয়ে বেশি কাজ করবে।’

তরুণ প্রজন্মের ভোটাররা চাকরির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা কমানো এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি চান।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘নির্বাচনে যেসব দল অংশগ্রহণ করছে, তাদের প্রার্থীরা কেমন। তারা নিজ এলাকায় তার অবস্থান কেমন সেটা বিবেচনা করা উচিত।’

তরুণ ভোটাররা বলছেন, ভোটদানে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এক নারী ভোটার বলেন, ‘আমরা যারা ভোট দিতে যাবো। আমাদের যেন নিরাপত্তা থাকে। সেই সঙ্গে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়, সেই বিষয়ে নজর দিতে হবে।’

তরুণদের নিয়ে কাজ করেন এমন বিশ্লেষকরা বলছেন, তরুণদের প্রয়োজন ও ইচ্ছেগুলো রাজনীতিবিদরা না জানলে ক্ষতি হবে রাজনীতির। এ জন্য ইশতেহারে তরুণদের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দেন তারা।

গণ-রাজনৈতিক জোটের আহ্বায়ক সৈয়দ মনিউজ্জামান লিটু বলেন, ‘তরুণরা এখন বের হয়ে আসছে, তারা এখন বুঝে গেছে। প্রত্যাশা ও আশার মাঝে এখন থাকার সুযোগ নেই। তারাই নিজেরাই এখন দায়িত্ব নিতে চান।’

দেশে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ আর তরুণ ভোটার সংখ্যা ২ কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৮ জন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.