সুরক্ষা নিশ্চিত করে বেসরকারী মেডিকেলকে করোনা চিকিৎসায় এগিয়ে আসতে হবে : ডা. শাহাদাত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৪ হাজারেরো অধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১০১ জন। কিন্তু করোনা উপসর্গ নিয়ে এর চেয়ে অনেকগুণ বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে যা অফিশিয়াল হিসেবে আসছেনা এবং তা অত্যন্ত
উদ্বেগজনক।

এই কথাগুলো বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি ও স্পোর্টস মেডিসিন স্পেশালিস্ট ডাঃ শাহাদাত হোসেন।

এই লকডাউনের মাঝে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে লাইভে এসে টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এ সেবা চলছে রবি, মঙ্গল, ও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত।

তিনি বলেন, যেহেতু চট্টগ্রামে করোনার অবস্থা ভালো নয় তাই আমি বারবার বলছি করোনা চিকিৎসায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে অতি দ্রুত ৫০০ বেডের করোনা হাসপাতালে রুপান্তর করার জন্য।

এখনো পর্যন্ত সেখানে মাত্র ১০০টি বেড রয়েছে। যেহেতু সেখানে অনেক বেশি সংখ্যক স্পেশালিস্ট ডাক্তার-নার্সসহ সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে, তাই সেখানে আমি মনে করি সময়ক্ষেপন না করে দ্রুত ৫০০ বেডের হাসপাতাল করা উচিত। এছাড়াও আমি বারবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাঠকে ফিল্ড হাসপাতাল করার জন্য বলছি, যেখানে সহজেই ১০০-১৫০টি বেড সংযোজন করা যায় স্বদিচ্ছা থাকলে।

সাম্প্রতিক চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আমি চট্টগ্রাম পুরোপুরি রেড জোন এর আওতায় এনে কারফিউ জারি করার আল্টিমেটাম দিয়েছি। তবে অবশ্যই গরীব-অসহায় মানুষদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দিয়ে এই কারফিউ জারি করতে হবে।

গত লকডাউনে আমরা দেখেছি ত্রাণ সামগ্রী সঠিকভাবে গরীব-অসহায়দের মাঝে বন্টন করা হয়নি। সুতরাং সরকারকে গরীব-অসহায় পরিবারের মাঝে পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিতে হবে যাতে জনগণ জীবনকে বিসর্যন দিয়ে জীবিকার সন্ধানে বেরিয়ে না পরে। জোনিং সিস্টেমের বিষয়টি আমি এপ্রিল থেকেই বলে আসছি।

যাই হোক গত কয়েক আগে থেকে সরকার সেটিকে বাস্তবায়ন করা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাজেই এগুলো আমি মনে করি সরকার তখনই বিবেচনা করতো তাহলে আজকে এই মহামারীর মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হতো না এবং আমাদের প্রিয়জনদের হারাতে হতো না।

আমাদের চট্টগ্রামে করোনার বেড রয়েছে মাত্র ৩১০টি। আমদের প্রস্তাব হচ্ছে দ্রুত ২০০০ টি বেড করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে ৫০০ বেডে রুপান্তরসহ আরো যে ৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে এক্সিস্টিং
ইনফ্রাস্টাকচার রয়েছে, সেগুলোকে দ্রুত কোভিড হাসপাতালে রুপান্তর করা হোক।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যে মা ও শিশু হাসপাতাল এগিয়ে এসে যে মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে এজন্য আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আশা করি আরো যে ৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রয়েছে তারা দ্রুত এগিয়ে আসবে যাতে চট্টগ্রামের মানুষ তাদের চিকিৎসা সেবা পায়।

এছাড়াও কর্পোরেট হাসপাতাল, যেমন রেলওয়ে হাসপাতাল ও বন্দর হাসপাতালের মাধ্যমেও চিকিৎসা সেবা দেয়া উচিৎ। বন্দর হাসপাতাল বেশ বিশাল এটির একটি বিশাল ফান্ড রয়েছে, প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার মতো।

তাই এই হাসপাতালকে অতি সহযেই কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা সম্ভব এবং সেখানে ইন্টেসিভ কেয়ারও চালু করা সম্ভব। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে এসব নব্য কোভিড হাসপাতাল যাতে সরকার সরাসরি অধিগ্রহণ করে এবং সেখানকার ডাক্তার,নার্স ও স্টাফরা পর্যাপ্ত সুরোক্ষা ও সুবিধা পায়। সেখানে কোনো নন-কোভিড বা সাধারণ রোগি রাখা যাবে না।

Regards. Campaign Manager. Dr Shahadat Chittagong Mayoral Campaign. #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.