সুবর্ণচরে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ

নোয়াখালী প্রতিনিধি: মৌমাছি মৌমাছি, কোথা যাও নাচি নাচি, দাঁড়াও না একবার ভাই। ঐ ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে দাঁড়াবার সময়তো নাই…’ ছোটবেলার সেই কবিতা এখন যেন শুধুই বইয়ের পাতায় ছন্দবদ্ধ।
সারিবদ্ধ মৌমাছির ভোঁ-ভোঁ শব্দ বা মৌমাছির চাকে এখন আর দুষ্টু ছেলেদের ঢিল মারার অভিযোগ শোনা যায় না। অবাধে গাছ-পালা কেটে ফেলা এবং জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম-গঞ্জ থেকে মৌমাছি যেন হারিয়ে যাচ্ছে।
নগরে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনেকে জানে না মৌমাছির চাক কি এবং মধু উৎপত্তি হয় কোথায় থেকে। তবে এখন কৃত্রিমভাবে মৌমাছির চাষ করে মধু আহরণের পদ্ধতি ক্রমেই দেশে প্রসার ঘটছে।
এই ধারাবাহিকতায় নোয়াখালী সুবর্ণচরেও পরিক্ষামূলক ভাবে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহে সফলতা পেয়েছে মোঃ এনায়েত উল্যাহ এনাম। সে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রামের মোঃ নূর নবীর ছেলে।
মৌয়াল এনায়েত উল্যাহ (এনাম) জানান, ফেনী জেলার এক মৌয়াল থেকে ৬টি মৌ-বক্স সংগ্রহ করে দেয় সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কৃত্রিম পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করি। প্রতি কেজি মধু ১ হাজার টাকা দরে এই পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকার মধু বিক্রি করেছি। সামনে আরো বেশ কিছু টাকার মধু বিক্রির স্বপ্ন দেখছি। তবে পিউর এবং মানসম্মত মধু হওয়ায় বাড়িতে মাঝে মধ্যে ক্রেতাদের ভিড় জমে।
তিনি আরো বলেন, আমি চলতি বছরে ১৬ একর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করি। আগামীতে ৩০ একর জায়গায় সরিষা আবাদ করব এবং একই পরিমাণ জমিতে সূর্যমুখী চাষাবাদ করে এধরনের ১০০ টি মৌ-বক্সের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হারুন অর রশিদ বিটিসি নিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৪৩ হেক্টর জমিতে সরিষা ও ৪০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষাবাদ হয়েছে। রবি মৌসুমে এ সকল জমির পাশে মৌবাক্স স্থাপনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করে। ক্ষেতের পাশে মৌবাক্স স্থাপন করায় ফুলে পরাগায়নের ফলে এ সকল ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায়। মধু উৎপাদন বাড়ার পাশাপাশি ফলনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে কৃষকেরা নিজেরাই মৌবাক্স স্থাপন করায় উৎসাহিত হয়। এবং আর্থিক ভাবে তারা স্বাবলম্বী হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নোয়াখালী প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল (শিমুল)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.