সিরাজগঞ্জে আ. লীগ-বিএনপি’র দফায় দফায় সংঘর্ষ : আহত শতাধিক

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল, রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপে উভয় পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জনকে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পাতবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শহরের ইসলামিয়া কলেজ মাঠে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ সমাবেশে জেলার সবকয়টি উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ সমর্থকরা সকাল থেকেই বাস ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন যোগে এ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে।
দুপুরের দিকে একটি মিছিল ওই সমাবেশে যাওয়ার পথে বিএ কলেজ রোডে আওয়ামীলীগ বাঁধা সৃষ্টি করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। একপর্যায়ে এ সংঘর্ষ শহরের বড়পুল, কাটাখালী ব্রিজ, নগর্দীপুল, রেলগেট ও নিউ ঢাকা রোডসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষকারীরা ককটেল বিষ্ফোরণ ও রাস্তায় অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটায়।
এ সংঘর্ষে শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায় এবং জনমনে ব্যাপক আতংকের সৃষ্টি হয়। পুলিশ বিপুল পরিমাণ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এখনও শহরের কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ চলছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বলছেন, বিএনপি সমাবেশের নামে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ সংঘর্ষ ও হামলা করে। অন্যদিকে বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলছেন, আয়োজিত সমাবেশে একটি মিছিল অংশগ্রহণকালে আ’লীগ বাঁধা সৃষ্টি করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বিটিসি নিউজকে বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবীতে আয়োজিত সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার পথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপে আমাদের প্রায় অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশংকা জনক। গুরুতর আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল বিটিসি নিউজকে বলেন, বিএনপি মিছিল নিয়ে সমাবেশে যাওয়ায় পথে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয় এবং আমাদের ব্যানার ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলে এবং হামলা ও ভাংচুর শুরু করে। সংঘর্ষে আমাদের অন্তত ৪০/৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারাফত ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.