সিপিবি আয়ােজিত স্মরণসভায় বক্তারা – কমরেড অমল সেন ছিলেন শােষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের প্রবাদ সৈনিক

খুলনা ব্যুরো:  উপমহাদেশের প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা, তেভাগা আন্দোলনের কিংবদন্তি, কমরেড অমল সেনের ১৭তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি’র যৌথ উদ্যােগে এক আলাচনা সভা আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) সকালে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে কমরেড অমল সেনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
দলের খুলনা মহানগর সভাপতি এইচ এম শাহাদতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ বাবুল হাওলাদারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলােচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি ডাঃ মনােজ দাশ, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, অরুণা চধুরী, জেলা সাধারণ সম্পাদক এড. রুহুল আমিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল হান্নান, যুব ইউনিয়নের জেলা সভাপতি এড. নিত্যানন্দ ঢালী, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জয়ন্ত মুখার্জী, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সভাপতি উত্তম রায়, নগর সভাপতি চন্দন দাস, ছাত্রনেতা কৃষনেন্দু বাছাড়, আল আমিন, সাোমনাথ দে, মেহেদী হাসান, সুমাইয়া বানা, রুমা রুবাইয়া, রুপা মল্লিক, সিনথিয়া জামান একা, নাহিদ হাসান, সৌমিত্র সৌরভ, মােহাম্মদ আলী, আরিফ হাসান, জাহিদুর রহমান, কাজী সবুজ, শরীফুজ্জামান, শিমুল ঘাষ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কমরেড অমল সেন ছিলেন শােষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের প্রবাদ সৈনিক। বাংলাদেশের কৃষক আন্দোলনের বিশেষ করে তেভাগা আন্দোলনের বিপ্লবী ভূমিকা অবিস্মরণীয়। বৃটিশ বিরােধী আন্দোলনের, মুক্তিযুদ্ধ, এ ভূখন্ডের গণতন্ত্র আদালনের তিনি ছিলেন অগ্রসৈনিক। জমিদার পরিবারর সন্তান হয়েও জমিদারদের শােষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে নজির সৃষ্টি করেছিলেন।
রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা ছিল প্রখর। আজীবন বিপ্লবী, ত্যাগী, দীর্ঘ কারাবরণকারী নেতা, দেশ ও জাতির জন্য দিয়ে গেছেন অনেক কিছু। এ যুগে তাঁর মত ত্যাগী মানুষ বিরল।
প্রচলিত ধারার অস্থিরতা, লুটপাট, দুর্নীতি, দেউলিয়াত্মপনা রাজনীতির এ ক্রান্তিকালে কমরেড অমল সেনদের প্রয়ােজনীয়তা অপরিহার্য। বক্তারা সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা-মৌলবাদ-লুটপাট-ধর্ষণের বিরুদ্ধে  বাম প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.