সিংড়ায় কদমকুড়ি গ্রামে হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি, স্বাক্ষী ও বাদীর বাড়ি ঘেরাও


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২নং ডাহিয়া ইউনিয়নের কদমকুড়ি গ্রামে ২০১৩ সালে সংঘটিত আব্দুল সালাম হত্যা মামলার আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি ও দেশীয় অস্ত্রে বাদী ও স্বাক্ষীর বাড়ি ঘেরাও করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ওই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কদমকুড়ি গ্রামের আব্দুস সালাম হত্যা মামলার আসামী আব্দুর রাজ্জাক,আবজাল ও মামুনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় মামলার বাদী বেলাল এবং মামলার স্বাক্ষী তহিদুল,রহিম,বাচ্চু ও রাজুর বাড়ি ঘেরাও করে।
এসময় বাড়িতে থাকা বাদী ও স্বাক্ষীদের গালি গালাজ করে এবং মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। বাদী ও স্বাক্ষী পক্ষের লোকজন ভয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে নিরাপদে আশ্রয় নেয়। হামলা কারীরা বাদীর ভাতিজা ও নিহত আব্দুস সালামের রেজাউল নামের ১০ বছরের শিশু ছেলেকে ছিনতাই করার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে রেজাউলকে রেখে হামলা কারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ওই মামলার স্বাক্ষী তহিদুল বিটিসি নিউজকে বলেন, আদালতে সালাম হত্যা মামলার স্বাক্ষীর তারিখ র্নিধারণ হয়েছিল। লকডাউনের কারনে স্থগিত আছে। এখন আসামী পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে আছে ছোট খাট বিষয় নিয়ে আমাদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আমার বাড়িতে গিয়ে তারা বলেছে মামলার স্বাক্ষী দিলে জানে মেরে ফেলবো। বাঁচতে চাইলে মামলা তুলে দে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে আসামী পক্ষের মোঃ আব্দুল মামুন বিটিসি নিউজকে বলেন, মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির ঘটনা সর্ম্পুণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাদের গ্রামের লিজ নেওয়া পুকুর পাড়ে কিছু গাছ লাগানো নিয়ে ডাহিয়া গ্রামের মিন্টু ও কদমকুড়ি গ্রামের ইব্রাহিমের সাথে ওদের কথা কাটা কাটি হয়। এ নিয়ে প্রতিপক্ষরা আমাদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পরে। প্রতিপক্ষরা এই ঘটনাটি অন্যদিকে নেওয়ার অপচেষ্টা করছেন।
সিংড়া থানা অফিসার ইনর্চাজ নুর-এ আলম সিদ্দিকী বিটিসি নিউজকে বলেন, এবিষয়ে কোন অভিযোগ পাই নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.