সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের অবৈধ সম্পদের মামলায় আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন

ঢাকা প্রতিনিধি: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৭ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের মো. শহিদুল ইসলামের আদালতে এ যুক্তিতর্কের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর ফাতেমা খানম নীলা যুক্তি উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে বাবরের পক্ষে আইনজীবী পারভেজ হোসেন আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে সময় প্রার্থনা করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩ অক্টোবর যুক্তি উপস্থাপনের পরবর্তী দিন ঠিক করেন।
যুক্তিতর্কের শুনানিকালে কারাগারে থাকা বিএনপির সাবেক এ নেতাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর বাবর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন এবং কোনো সাফাই সাক্ষী দিবেন না মর্মে জানান। এরপর বিচারক যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ঠিক করেন।
২০০৭ সালের ২৮ মে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া এ আসামির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলাটি ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রমনা থানায় দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে ওই বছরই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা এ চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন। তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক দুটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়।
২০০৮ সাল থেকে কারাগারে থাকা এ আসামীর একটি অস্ত্র মামলায় ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তার ১৭ বছর কারাদণ্ড হয়। এরপর ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির আদেশ হয়। তার বিরুদ্ধে সাব্বির হত্যা মামলার বসুন্ধ শাহআলম পরিবারকে বাঁচাতে ঘুষ গ্রহণে দুর্নীতি এবং আয়কর ফাঁসির মামলাসহ আরও কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.