সান্তাহারে রেললাইনের উপর দোকানপাট নিরাপত্তা নেই পথচারীদের


আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের রেলগেটের ভিতরে রেললাইন দখল করে অবৈধ ভাবে বসানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে যেমন চলাচল করছে ট্রেন, তেমনি নিরাপত্তা নেই পথচারীদের। যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের দূঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। এক শ্রেনীর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন যাবত রেলওয়ে জায়গা দখল করে বসানো দোকানপাট উচ্ছেদ হচ্ছেনা কোনক্রমেই। ফলে ক্রমেই বাড়ছে দোকানপাট বসানোর প্রতিযোগীতা।
স্থানীয়রা জানান, আদমদীঘির সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন ও রেলগেটটি সান্তাহার পৌর শহরের মাঝ খানে অবস্থিত। শহরের মধ্যে যাতায়াতের একমাত্র ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এই জংশন স্টেশনের রেলগেট। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন এই রেলগেটের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।
মিটার ও ব্রডগেইজ ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ ও অতিক্রম করার সময় গেটম্যান বন্ধ করে গেট। ফলে রেলগেটের ভিতর দিয়ে পথচারী চলাচল করলেও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি করে। এই রেলওয়ে গেটের ভিতর রেলওয়ে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এক শ্রেনীর ব্যবসায়ী রেললাইনের উপড় ও আশে পাশের জায়গা দখল করে ফলমুল, পুরাতন কাপড়, জুতা স্যান্ডেলসহ বিভিন্ন ধরণের বহুসংখ্যক দোকানপাট বসিয়েছে। এই সব দোকানে ক্রেতাদের ভীড়ে পথচারীদের চলাচল দুরুহ হয়ে পড়েছে।
রেললাইনের উপর দোকানপাট বসায় ট্রেন আসা যাওয়ার সময় ক্রেতা ও দোকানিরা তড়িঘড়ি করে রেললাইন থেকে সরে যেতে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে। রেলওয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা পরিদর্শনে এলে স্থানীয় রেলওয়ে প্রশাসনের পরামর্শে সাময়িক ভাবে দোকানপাট সরিয়ে নেয়া হলেও পরিদর্শক দল ফিরে যাওয়ার পর পুনরায় দোকানপাট বসানো হয়। এসব দোকানপাট থেকে বিনা রশিদে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা টোলও আদায় করেন একটি মহল।
এ ভাবেই চলছে দীর্ঘদিন যাবত। যেন দেখার কেউ নেই। ভুক্তভোগি মহলের দাবী সান্তাহার রেলগেট চত্বর অবৈধ স্থাপনা অপসারন করে জনসাধারনের চলাচল নির্বিগ্ন করা। সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন,স্টেশন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সান্তাহার রেলওয়ে পি.ডব্লিউ.আই আফজাল হোসেন বলেন, রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের দায়িত্ব স্টেশন মাস্টারের। সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি সামিউল আযম জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ অভিযানে ফোর্স চাইলে সহযোগীতা করা হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.