ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে স্কুলছাত্রী মুক্তির পিছু নেয় কাউছার, শেষ পর্যন্ত কুপিয়ে হত্যা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোনার বারহাট্টা ‌‌উপজেলায় স্কুলছাত্রী মুক্তি বর্মণকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত কাউছার মিয়াকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটকের পর কাউছার পুলিশকে জানিয়েছে, চার বছর আগে ওই ছাত্রীর পিছু নেয়। বারবার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কুপিয়ে হত্যা করেছে।
নিহত মুক্তি বর্মণ (১৬) উপজেলার প্রেমনগর এলাকার ছালিপুরা গ্রামের নিখিল বর্মণের মেয়ে এবং প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আটক কাউছার (১৯) একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে।
বুধবার (০৩ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
তিনি ‌‌বলেন, ‌আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাউছার জানিয়েছে, ষষ্ঠ শ্রেণিতে লেখাপড়ার সময় থেকে মুক্তির পিছু নেয়। বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়। এই ক্ষোভ থেকেই কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‌ঘটনার পরপরই কাউছারকে আটকের জন্য পুলিশের অভিযান শুরু হয়। বাড়ির পাশ থেকে আধা কিলোমিটার দূরে একটি জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল সে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে সেখান থেকে তাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় বারহাট্টা থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। কাউছার বর্তমানে ডিবির হেফাজতে রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুক্তিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) লুৎফর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, জেলা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান ও ডিবি পরিদর্শক সায়েদুর রহমান প্রমুখ।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে উপজেলার ছালিপুরা এলাকায় মুক্তি বর্মণকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কাউছার। বিকাল ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নেত্রকোনা প্রতিনিধি মো. জুলফিকার আলী মানিক। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.