শ্রীলঙ্কায় আরও একমাস জরুরি অবস্থা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জরুরি অবস্থার সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে তীব্র বিতর্ক শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে। বিক্ষোভকারীরা এখনও রাস্তায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
পার্লামেন্টে ১২০-৬৩ ভোটে জরুরি অবস্থা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জয় লাভ করেছে। প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে জরুরি অবস্থা বাড়ানোর পক্ষে ছিলেন। তাকে সমর্থন জানিয়েছেন শাসকপক্ষ। কিন্তু বিরোধীরা জরুরি অবস্থা বাড়ানোর তীব্র বিরোধী ছিল। তাদের বক্তব্য, এর ফলে দেশে অস্থিরতা আরও বাড়ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জরুরি অবস্থা আরও একমাস বাড়ানো হবে।
জরুরি অবস্থা বাড়ানোর জন্য শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে অনুমতি নিতে হয়। প্রেসিডেন্ট জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার দুই সপ্তাহের মধ্যে এই অনুমতি নিতে হয়। জরুরি অবস্থা ঘোষণা হলে সেনার ক্ষমতা বেড়ে যায়। ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটক করতে পারে সেনাবাহিনী। আর তাতেই আপত্তি ছিল বিরোধীদের।
শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরেই সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল। গোতাবায়া প্রথমে মালদ্বীপ পালিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে যান প্রাইভেট ছুটিতে গেছেন বলে জানান তিনি। সিঙ্গাপুর সরকার তাকে ১৪ দিন দেশে থাকার অনুমতি দিয়েছিল। বুধবার সেই অনুমতি আরও ১৪ দিন বাড়ানো হয়েছে।
কিন্তু সিঙ্গাপুরের প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, গোতাবায়াকে অ্যাসাইলাম দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে বুধবারই শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, গোতাবায়া দেশে ফিরে আসছেন। তবে কবে ফিরবেন, সে কথা তিনি জানাননি।
গোতাবায়াকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছে ইন্টারন্যাশনাল ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস নামের এক এনজিও। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কায় গৃহযুদ্ধের জন্য রাজাপাকসেকে দায়ী করেছে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই এনজিও দীর্ঘদিন ধরেই শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে।
অন্যদিকে আমেরিকা কাছে আবেদন জানিয়েছে চীনের কাছে, শ্রীলঙ্কার ঋণের বোঝা যাতে কমে তার জন্য ব্যবস্থা নিক বেজিং। শ্রীলঙ্কার মতো অন্য যে দেশগুলো চীনের ঋণে জর্জরিত, সেখানেও একই কাজ করার অনুরোধ করেছে আমেরিকা। (সূত্র: ডয়চে ভেলে) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.