শুধু বোনাসই পাবেন ৬৭ কোটি টাকা!

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দুর্দান্ত সময় কাটানো আর্লিং হলান্ড এবারের মৌসুমে শুধু বোনাস হিসেবেই ৬৭ কোটি টাকা পেতে পারেন। তবে ম্যানচেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ডকে আরও কয়েকটি অর্জন ছুতে হবে। এর মধ্যে দলের হয়ে ট্রেবল জয়। যদিও পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের এই সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল।
এর আগে গত জুনে ২২ বছর বয়সী নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন। আর এসেই যেন একের পর এক পারফরম্যান্স দিয়ে সব জয়ের খুব কাছে চলে যাচ্ছেন।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই মুহূর্তে আর্সেনালের চেয়ে ৪ পয়েন্ট এগিয়ে প্রিমিয়ার লিগ দৌড়ের শীর্ষে ম্যানসিটি। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল আর এফএ কাপের ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে দলটি।
এ নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য সান বলছে, সিটি প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে বোনাস হিসেবে ১০ লাখ পাউন্ড করে পাবেন হলান্ড। এফএ কাপ জিতলে পাবেন সাড়ে তিন লাখ পাউন্ড। অর্থাৎ সিটি ট্রেবল জিতলে সাড়ে ২৩ লাখ পাউন্ড বোনাস পাবেন তিনি।
হলান্ড ব্যক্তিগত অর্জনের জন্যও পেতে পারেন আরও ২৫ লাখ পাউন্ডের বেশি। কেননা এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে ৩২ ম্যাচে ৩৫ গোল হয়ে গেছে তার। যা এবার তো বটেই, প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসেই এক মৌসুমে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। যেখানে মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে পাবেন ৩ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড।
চ্যাম্পিয়নস লিগে করেছেন ৮ ম্যাচে ১২ গোল। ব্যক্তিগত এসব অর্জনের কারণে মৌসুম শেষে পিএফএ প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার, ফুটবল রাইটার্স প্লেয়ার অব দ্য ইয়ারের দৌড়ে হলান্ডই সবার চেয়ে এগিয়ে। পিএফএ টিম অব দ্য ইয়ারে জায়গা করাও অবধারিত। এসবের সঙ্গে যদি দলগতভাবে ট্রেবল বা চ্যাম্পিয়নস লিগ ও প্রিমিয়ার লিগ জেতেন, তাহলে সম্ভাবনা থাকবে ব্যালন ডি’অর জয়েরও। ব্যক্তিগত এই স্বীকৃতিগুলোর প্রতিটির জন্যও আছে ভালো আর্থিক পুরস্কার।
২০২২–২৩ মৌসুমে সব মিলিয়ে হলান্ডের বাড়তি আয়ের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৫০ লাখ পাউন্ডের বেশি—বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৭ কোটি ২৯ লাখ টাকার বেশি। সানের খবরে বলা হয়, চুক্তিতে হলান্ডের সাপ্তাহিক বেতন ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড। তবে এ জন্য তাঁকে মৌসুমে সিটির ৬০ শতাংশ ম্যাচ খেলতে হতো। এরই মধ্যে সেই শর্তও পূরণ হয়ে গেছে নরওয়ে তারকার।
সিটিতে বর্তমান চুক্তি অনুসারে ২০২৭ পর্যন্ত থাকবেন হলান্ড। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.