শীত জেঁকে বসেছে রাজশাহীতে, গরম কাপড়ের ব্যাবসায়ীদের রমরমা ব্যবসা

নিজস্ব প্রতিবেদক:  সপ্তাহ খানেকের বেশি সময় ধরে রাজশাহীতে অব্যাহত আছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার সাথে হিমেল বাতাসে বেড়েছে ঠাণ্ডা। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। স্বল্প আয়ের মানুষেরা ভিড় করছেন শহরের গরম পোশাকের বাজারগুলোতে।
বিশেষ করে গুদ্রী কাপড়ের হকারদের কাছে সব শ্রেণী পেশার মানুষের ভীড় চোখে পড়ার মত।

রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত। ভোর থেকে কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে সূর্যের দেখা মিলছে দেরিতে। দিনভর থাকছে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ। কনকনে শীতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। রাতে-দিনে শীত থেকে বাঁচতে খড়কুটো জ্বালিয়ে তাপ পোহাচ্ছেন গ্রামে গঞ্জে  অনেকে। আর শীতের পোশাকের অভাবে দুর্ভোগ বেড়েছে প্রান্তিক ও দুস্থ মানুষজনের।

স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন, অনেক ঠাণ্ডা। শীতের থরথর করে কাঁপছে মানুষজন।এক নারী বলেন, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। গরীব যারা তারা তো শীতের কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে।

গতকাল বুধবার জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবার (২৬শে ডিসেম্বর) সকালে সূর্যমামা কিছুক্ষনের  জন্য দেখা দিলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের লুকোচরি চলছে।তবে সূর্যের তাপ কম।বাতাসে জানান দিচ্ছে আসছে আরো শীত। সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অব্যাহত আছে শীতের এ তীব্রতা।

গত দুই বছর রাজশাহীতে তেমন শীত না পড়ায় পুরাতন কাপড় বিক্রেতা গণ তেমন লাভ করতে না পারায় এ বছর তারা পুষিয়ে নিচ্ছে।  শীত পোশাকের ব্যবসার ঘাটতি পেরিয়ে এবার বিক্রি বাড়ায় খুশি গরম কাপড়ের বিক্রেতারা।

এক বিক্রেতা বলেন, এবার একটু শীত বেশি। আর তাই ক্রেতাও বেশি। আমাদের বেচাকেনাও তুলনামূলক বেশি।

আরেক বিক্রেতা বলেন, সব ধরণের গরম কাপড়ই বিক্রি হচ্ছে কিন্তু কম্বল আর মাফলার বিক্রি হচ্ছে বেশি।

দীর্ঘ সময় জুড়ে কনকনে ঠান্ডা থাকায় নগরীতে গত দু’বছরের চেয়ে গরম কাপড় বেচাকেনা দ্বিগুণ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ফুটপাত ব্যবসায়ীরা

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.