শিরোপা লড়াইয়ে টিকে রইলো লিভারপুল

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: হারলেই সব হিসেব-নিকেশ শেষ হয়ে যেতো লিভারপুলের। এক ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেতো ম্যানচেস্টার সিটির। সেটা আর হলো না। শিরোপা লড়াইয়ের সব উত্তেজনা এবার শেষ ম্যাচের অপেক্ষায়।  শেষ ম্যাচে লিভারপুলের শুধু জিতলেই হবে না, তাদের প্রার্থনা করতে হবে ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট হারানোর।
মঙ্গলবার রাতে সাউদাম্পটনের মাঠে পিছিয়ে পড়েও ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে লিভারপুল। ন্যাথান রেডমন্ডের গোলে পিছিয়ে পড়ার খানিক পরই সমতা টানেন তাকুমি মিনামিনো। আর দ্বিতীয়ার্ধে জয়সূচক গোলটি করেন জোয়েল মাতিপ।
এই জয়ে শিরোপা লড়াইয়ে টিকে রইলো লিভারপুল। ৩৭ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৮৯। সমান ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৯০। দুই দলের শেষ ম্যাচটিই তাই এখন ঠিক করবে, ট্রফি কার হাতে উঠছে।
ম্যাচে মোট ২৫টি শট নেয় লিভারপুল, যার ৫টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৪ শট নিয়ে দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে সাউদাম্পটন।
ম্যাচের ১৩ মিনিটের মাথায় পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। বক্সের বাঁ দিক থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে দেন সাউদাম্পটনের নাথান রেডমন্ড।
তবে বেশিক্ষণ সেই গোল ধরে রাখতে পারেনি সাউদাম্পটন। ২৭তম মিনিটে দিয়েগো জটার অ্যাসিস্ট থেকে বক্সের ডান দিক থেকে শটে সমতা ফেরান তাকোমি মিনামিনো। দলের জন্য গোলটি মহামূল্যবান হলেও উদযাপন করেননি গত মৌসুমে সাউথ্যাম্পটন খেলা মিনামিনো।
সমতায় ফেরার পর আক্রমণের ধার বাড়ায় রেডরা। জটা, ফিরমিনোরা একের পর এক সুযোগ তৈরি করেন। তবে প্রথমার্ধে আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
দ্বিতীয়ার্ধের চাপ ধরে রেখে খেলতে থাকে লিভারপুল। ৪৮তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারতো তারা। তবে জটার নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৫তম মিনিটে হার্ভে এলিয়ট আর ৬২ মিনিটে কুর্তিস জোনসের শটও ক্লোজ ছিল।
অবশেষে ৬৭তম মিনিটে সমতা ভাঙে লিভারপুল। কর্নার থেকে বল বক্সের মাঝখানে পেয়ে দারুণ হেডে গোল করেন জোয়েল মাতিপ।
এরপরও আক্রমণের পর আক্রমণ করে গেছেন ফিরমিরো, জোনসরা। তবে ব্যবধান আর বাড়ানো যায়নি। ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ক্লপের শিষ্যরা।
আগামী রোববার ঘরের মাঠে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের বিপক্ষে খেলবে লিভারপুল। একই সময়ে পেপ গার্দিওলার দলকে খেলতে হবে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.