বিটিসিস্পোর্টসডেস্ক: সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচের শুরুতেই বদলি খেলোয়াড় শামসুন্নাহার জুনিয়রের গোলে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৩তম মিনিটেই গোলটি করেন শামসুন্নাহার। এরপর দ্বিতীয় গোলটি করেন কৃষ্ণা রাণী সরকার। খেলার ৪১ মিনিটের মাথায় গোলটি করে জয়ের পথে একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
বদলি হিসেবে খেলায় নেমেই বাজিমাত করে দেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। মাঠে নেমেই নিজের যোগ্যতা প্রমাণ দিয়েছেন। প্রথমার্ধে তারই করা লক্ষ্যভেদে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলো।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ম্যাচের শুরু থেকে বাংলাদেশ আক্রমণে। ম্যাচঘড়ির ১ মিনিটে মারিয়া মান্দার দূরপাল্লার শট গোলকিপার শুয়ে পড়ে তালুবন্দি করেন।
১০ মিনিটে চোট পেয়ে সিরাত জাহান স্বপ্না উঠে যান। তার জায়গায় শামসুন্নাহার জুনিয়র মাঠে নামেন। চার মিনিট পর বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ডান প্রান্তে মনিকা চাকমার ক্রসে শামসুন্নার জুনিয়রের দারুণ প্লেসিং জড়িয়ে যায় জালে। এতে গ্যালারিতে থাকা দর্শকরা স্তব্ধ হয়ে যান।
এরপর অবশ্য খেলায় প্রাধান্য বিস্তার করেছে নেপাল। একটু পরপরই আক্রমণে আসছিল তারা। এর মাঝে সবচেয়ে বড় বিপদ হতে পারতো ৩৭তম মিনিটে। যে যাত্রায় জটলা থেকে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল স্বাগতিকরা।
প্রথমে সাইড বার, এরপর গোল লাইন থেকে বল ক্লিয়ার না হলে ম্যাচে সমতায় ফিরতো নেপাল। খেলার ধারার বিপরীতে ম্যাচের ৪১তম মিনিটে ফের আনন্দে ভাসে বাংলাদেশ। এবার নেপালের ভুলে দারুণ বুদ্ধিমত্তায় গোল করেন কৃষ্ণা রাণী সরকার।
এর আগে বাংলাদেশ সময় বিকলে সোয়া ৫ টায় শুরু হয় নেপালের কাঠমান্ডুতে নারী সাফের ফাইনাল। বাংলাদেশ ও নেপাল মুখোমুখি এই ঐতিহাসিক ফাইনালে।
শেষ পর্যন্ত ফাইনালের একাদশে অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্না। জাতীয় নারী ফুটবল দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন সেমিফাইনালের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেই ফাইনালের দল সাজিয়েছেন।
বাংলাদেশ দল: রুপনা চাকমা, শিউলি আজিম, শামসুন্নাহার, আঁখি খাতুন, মাসুরা পারভীন, মনিকা চাকমা, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার ও সিরাত জাহান স্বপ্না। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.