শিক্ষক কর্তৃক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ

কুুুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজীবপুর এতিমখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সাহাদৎ হোসেন ওরফে লাল মিয়া গতকাল শনিবার (১৫ আগষ্ট) ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে।

বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষক প্রভাব খাটিয়ে ও অর্থ খরচ করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। ফলে শনিবার সকালের দিকে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে রাজীবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীউল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর পরই নির্যাতিত পরিবারকে অভিযোগ নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ না আসায় আমরা কোনো কিছু করতে পারছি না।

অভিযোগে জানা গেছে, রাজীবপুর এতিমখানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই নির্যাতিত পরিবারটির বাড়ি। ঘটনার দিন অভিযুক্ত শিক্ষক ওই স্কুলছাত্রীকে বিস্কুট দেয়ার নাম করে প্রতিষ্ঠানের দোতলায় একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের ঘটনা যাতে কাউকে না বলা হয় এজন্য ভয় দেখানো হয়। কিন্তু ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর নির্যাতিতের বাবা ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। এসময় প্রধান শিক্ষক তাকে থানায় মামলা করতে বলেন। নাম প্রকাশ না করে অত্র এলাকার কয়েকজনে জানিয়েছেন,

ঘটণা সত্য, ৪ লক্ষ্য টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংশা করেছে, যা কেউ প্রকাশ করছে না। ইতোপূর্বে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ উঠলেও সেগুলো টাকার বিনিময়ে ধামা চাপা দেয়া হয়েছে। তারা আরও জানান, ওই লম্পট শিক্ষকের দুইজন স্ত্রী রয়েছে।

বার বার অপকর্ম করে টাকার জোরে মিমাংশা করে পার পেয়ে যাচ্ছে, যার ফলে একই ঘটণা ঘটিয়ে যাচ্ছে বার বার। এর উচিৎ শিক্ষা পাওয়া দরকার। নির্যাতিতের বাবা অভিযোগ করে বলেন, মাইনসে নানা ধরনের ভয় দেখাচ্ছে। থানায় মামলা করলে নাকি আমার মেয়ের বিয়ে হবে না।

মাতাব্বররাও বলছে মামলা না করার জন্য। তারা মিমাংশার জন্য চাপ দিচ্ছে। এ নিয়া বড় বিপদের মধ্যে আছি। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষক সাহাদৎ হোসেন ওরফে লাল মিয়া বলেন, মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে আমি স্কুলের ২৫ প্যাকেট বিস্কুট দিয়েছি।

এর বাইরে কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রফিক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, নির্যাতিতের বাবা আমার কাছে এসে ওই একই অভিযোগ করেছেন। আমি বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসে অপকর্মের বিষয়টি তদন্তের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমান হৃদয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.