শরণখোলায় আম্ফান বিধ্বস্ত গ্রাম আবারও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত…

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পূর্নীমার জোয়ারের প্রভাবে আম্ফান বিধ্বস্ত বেড়িবাধ দিয়ে পানি ঢুকে আবারও বগী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ঘুর্নীঝড় আম্ফানের পর গত এক সপ্তাহে সেখানের তিনটি গ্রামের  মাঠে  ও বাড়ি- ঘড়ের পানি নেমে এলাকা স্বাভাবিক হলেও গত তিনদিন ধরে ভেঙ্গে যাওয়া সেই বাধ দিয়ে আবার জোয়ারের পানি প্রবেশ করে এলাকায় । এখানের তিন শতাধিক পরিবার আবারও পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে এখন। অনেকেই নিজেদের বাড়িঘড় ছেড়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। চুলোয় পানি ঢুকে গেছে। রান্না বান্নার কাজ রয়েছে বন্ধ।

আম্ফানে বাধ ভেঙ্গে যাওয়ার পর প্রায় ১৫ দিন পার হলেও তা সংস্কার না করায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ঘূর্নীঝড় আম্ফানের পর এখানে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্টা এসে দ্রুত রিংবাধ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে এখনো তা কার্য্যকরী হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান ( ৪৫), সোহাগ (৪৩), সেলিনা খানম( ৫২), জাকারিয়া হাওলাদার (৬৫)জানান, ভাঙ্গন দেখতে আয় সবাই, মুখে মুখে সবাই ভাঙ্গন হাইর‍্যা দেয়,  বাস্তবে এত দিন হইলো কেউ বাধ বাইন্দ্যা দিলোনা, মোরাতো জোয়ারে ভাসি আর ভাডায় হুগাই,জানিনা এই ভাবে কতদিন বাইচ্যা থাকতে পারমু।

তবে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরদার মোস্তফা শাহিন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান। সেনাবাহিনীর তত্বাবধায়নে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাধের কাজ শুরু হবে। সেনা বাহিনীর বরিশাল শেখহাসিনা সেনানিবাসের একটি দল ইতোমধ্যে বেরীবাধ সংলগ্ন চালিতাবুনিয়া গ্রামের সরকারী প্রাইমারী স্কুলে ক্যাম্প স্থাপন করেছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.