লালমোহনের লডহার্ডিঞ্জে নির্বাচনী সংঘর্ষ, ২৫টি দোকানে ভাঙচুর-লুটপাট

 

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনের লডহার্ডিঞ্জে দুই ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুটি বাজারে ২৫টি দোকান, ২টি রাজনৈতিক ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে হামলাকারীরা। দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের কারণে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। আর এলাকায় থমথমে অবস্থায় বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৫ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তাজুড়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া মালামালের ছাই। দোকানগুলোতে কুপিয়ে তছনছ করা ও লুটের চিহ্ন। হতবাক ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো পাহারা দিচ্ছেন। কী করবেন অজানা তাদের।
শুক্রবার (২৪ মে) রাতে লালমোহন উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রাথী আবুল হাসান রিমন (চশমা) ও জাকির হোসেন পঞ্চায়েতের ( তালা) সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। দফায় দফায় চলা এ সংঘর্ষ চলে রাত ২টা পর্যন্ত।
এ সময় লডহার্ডিঞ্জের মাদ্রাসা বাজারে মুদি ব্যবসায়ী মোছলেহ উদ্দিনের ২টি, আসিফ মেডিকেল, কাশেম মুদি, রাসেলে কীটনাশক, আল আমিন মেডিকেল, রাসেল গার্মেন্টস, রেস্টুরেন্ট ও সেলুনসহ ১৭টি দোকান এবং আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও ইউপি মেম্বারে ব্যক্তিগত অফিস কুপিয়ে তছনছ করে হামলাকারীরা।
ব্যবসায়ী রাসেল মিজানসহ অন্যরা জানান, গভীর রাতে আবুল হাসান রিমন ও জাকির হোসেন পঞ্চায়েতের সমর্থকরা পাল্টাপাল্টি হামলা ও লুটপাট চালায়। একটি দোকান ও ৩টি ভ্যান ও একটি বাইসাইকেল দোকানের মালামাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তখন দোকানপাট সব বন্ধ ছিল। এ সুযোগে হামলাকারীরা লুটপাটও চালায়। একই সময় পার্শ্ববর্তী কাশমির বাজারে ৮টি দোকান ও দুটি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করা হয়।
ব্যবসায়ী সানাউল্লাহ জানান, তার মালিকানা মার্কেটে ৮টি দোকান ভাড়া দেন। হামলাকারীরা সবকয়টি দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে। একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় ও ২টি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়।
এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ওই ২ বাজারে ব্যবসা বাণিজ্য সব বন্ধ রয়েছে।
এদিকে রাতেই স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুর রহিম ও যুবলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
লালমোহন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব কুমার মণ্ডল বিটিসি নিউজকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। দোষীদের আটক ও নতুন কোনো সন্ত্রাসী যেন বাজারে আসতে না পারে পুলিশ সেই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে লালমোহন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এখানে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ভোলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ এনামুল হক। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.