বরগুনায় তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল, কালো মেঘের গুমোট পরিস্থিতিতে বাড়ছে আতঙ্ক

 

বরগুনা প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনায় শুরু হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শনিবার (২৫ মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। অন্যদিকে বেড়েছে জোয়ারের পানি। তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নাঞ্চল। কালো মেঘের গুমোট পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
জেলার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অন্তত তিন ফুট বেড়েছে বলে জানান নদীর তীরের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে বরগুনার বড়ইতলা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পানিতে তলিয়ে গেছে বেড়িবাঁধের বাহিরের নিম্নাঞ্চল। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে।
বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বিষখালী নদী তীরবর্তী লতাবাড়িয়া এলাকায় সোবাহান মিয়া বলেন, ‘আমাদের এখানে বেড়িবাঁধের অবস্থা একেবারে নাজুক। স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ তলিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’
একই এলাকার সুমাইয়া বেগম বলেন, ‘পানির উচ্চতা আর দেড় থেকে দুই ফুট বাড়লেই বাড়িঘরে পানি ঢোকা শুরু করবে। তখন আমার দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।’
অন্যদিকে মাইনুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রের স্বল্পতা রয়েছে আমাদের। একটু বড় কিছু হলে স্থান সংকুলান হবে না। আমাদের নিরাপদ আশ্রয়ের সংকট রয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, বরগুনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ সভার মাধ্যমে আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করবো।
এ বিষয়ে বরগুনার পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহতাব হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, গত কয়েকদিনে তুলনায় আজ জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বরগুনা প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলাম শফিক। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.