বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথম সেশনে এখন পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার দুটি উইকেট পড়েছে। দুটিই নিয়েছেন নাইম হাসান। মেহেদি হাসান মিরাজের চোটে দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে জায়গা ফিরে পেয়েই সাফল্যের দেখা পান এই অফস্পিনার।
থিতু হওয়ার আগেই দিমুথ করুনারত্নেকে এলবিডব্লিউ করে দেন নাঈম। নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পাওয়া এই অফ স্পিনার পরে কট বিহাইন্ড করে দেন আরেক ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দোকে।
এর আগে বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। দিমুথ করুনারত্নেকে এলবিডব্লিউ করে শুরুর জুটি ভাঙলেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। তাতে ভাঙে ২৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।
অষ্টম ওভারে নাইমের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। নিজের পঞ্চম বলেই উইকেটের দেখা পান নাইম।
অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পড়ে অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বল কাট করেন লঙ্কান অধিনায়ক। তবে এর আগে ছুঁয়ে যায় তার প্যাড। জোরাল আবেদনে সাড়া দিয়ে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার।
তবে রিভিউ নিয়ে ছিলেন করুনারত্নে। সফল হননি তিনি। ১৭ বলে বাঁহাতি এই ওপেনার করেন ৯। ক্রিজে ওশাদার সঙ্গী কুসল মেন্ডিস।
প্রথম দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৩। ৪৩ বলে ২৭ রানে খেলছেন কুসল মেন্ডিস। ৯ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারাত্নে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক জানান, টস জিতলে তিনিও ব্যাটিং নিতেন।
তবে আগে বোলিং পাওয়ায় প্রথম ঘণ্টায় উইকেটের সুবিধা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য পঞ্চম দিনে বাংলাদেশকে চেপে ধরা।
রোববার সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুরু হবে প্রথম টেস্ট।
সাগরিকার এই মাঠে দুই দলের মধ্যকার শেষ দুই ম্যাচেই দেখা গেছে রানবন্যা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ দল প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রান করে অলআউট হয়। জবাবে শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেট গড়ে ৭১৩ রানের পাহাড়।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩০৭ রান করলে ম্যাচটি ড্র হয়।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। দেশের মাটিতে আট টেস্ট খেলে জয় নেই একটিও। সব মিলিয়ে ২২ টেস্ট খেলে জয় কেবল একটি। ২০১৭ সালে কলম্বোয় নিজেদের শততম টেস্টে জিতেছিল বাংলাদেশ।
উপমহাদেশের দলটির বিপক্ষে ব্যর্থতার চক্র থেকে বের হতে দেশের মাটিতে জয় চান অধিনায়ক মুমিনুল হক।
দেশের মাটিতে সবশেষ সিরিজেও পাকিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সাফল্যের পথে ফিরতে মুমিনুল মনে করেন টেস্টের ১৫ সেশনের মধ্যে নিজেদের করে নিতে হবে ১২-১৩টি সেশন।
বাংলাদেশ একাদশ: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.