রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে রোনালদোদের হারালেন মেসিরা

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দুই মহাতারকার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসল মেসিরা। গতককাল বৃহস্পতিবার রাতে রিয়াদের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে সৌদি আরবের প্রো লিগের ফুটবলারদের নিয়ে গড়া অল-স্টার একাদশের বিপক্ষে ৫-৪ ব্যবধানে জিতেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি)।
একদিকে আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি, অন্যদিকে পর্তুগালের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। গোটা ম্যাচে আক্রমণ আর পাল্টা-আক্রমণের ফুলঝুরি ছোটাল দুই দল। সব মিলিয়ে দুই দল ৯টি গোল করে।
পিএসজির হয়ে গোল করেন মেসি, মার্কুইনহোস, সার্জিও রামোস, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও হুগো একিতিকে। স্বাগতিকদের হয়ে জোড়া গোল করেন রোনালদো। এছাড়া হিউন সু-ইয়াং ও অ্যান্দারসন তালিস্কা একটি করে গোল করেন। এদিন পেনাল্টি মিস করেন নেইমার। এছাড়া, বার্নাত লাল কার্ড দেখায় ম্যাচের বেশিরভাগ সময় একজন কম নিয়ে খেলতে হয় পিএসজিকে।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই পিএসজিকে এগিয়ে দেন মেসি। ফাঁকায় থাকা নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষক মোহাম্মদ আল ওয়াইসের মাথার ওপর দিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান মেসি। ম্যাচের ২৫তম মিনিটে মেসির দুর্দান্ত পাস আয়ত্বে নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপ্পে। কিন্তু অফসাইডের কারণে মেলেনি গোল। ৯ মিনিট পর স্পট-কিকে অল-স্টারকে সমতায় ফেরান রোনালদো। সতীর্থের ফ্রি-কিকে হেড করার জন্য ডি-বক্সে লাফিয়ে ওঠেন রোনালদো। এগিয়ে এসে বল ঠেকাতে গিয়ে তার মুখে আঘাত করেন পিএসজি গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
পাঁচ মিনিট পর ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। মাঝমাঠের কাছে অল-স্টারের সালেম আল দাওসারিকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বার্নাত। তবে ধাক্কা সামলে ৪২তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায়  পিএসজি। বাঁ দিক থেকে এমবাপ্পে গোলমুখে ফেলেন ক্রস। অসাধারণ ফ্লিকে গোলরক্ষককে বোকা বানান মার্কুইনহোস।
কিছুক্ষণ বাদে নেইমার আদায় করে নেন পেনাল্টি। অল-স্টারের ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হওয়ার পর ভিএআরের সাহায্যে পাওয়া স্পট-কিকে রীতিমতো হতাশ করেন তিনি। দুর্বল শট অনায়াসে প্রতিহত করেন আল ওয়াইস। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলে স্কোরলাইন ২-২ করেন রোনালদো। ডি-বক্সে তার হেড দূরের পোস্টে লেগে ফেরার পর বল বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। সুযোগ লুফে নেন রোনালদো। ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটে তৃতীয়বারের মতো এগিয়ে যায় পিএসজি। পায়ের কারুকাজে প্রতিপক্ষের একজনকে এড়িয়ে বাইলাইনের কাছাকাছি থেকে ছয় গজ বক্সে বল বাড়ান এমবাপ্পে। ডান পা এগিয়ে তা জালে পাঠান রামোস।
সেই স্কোরলাইন টেকেনি বেশিক্ষণ। সতীর্থের কর্নারে হেড করে নাভাসকে ফাঁকি দিয়ে তিন মিনিট পর আবারও লড়াইয়ে ভারসাম্য আনেন সু-ইয়াং। তবে তিন মিনিট পর ফের প্যারিসিয়ানরা উল্লাস করে গোলের। সফল স্পট-কিকে তাদেরকে আরেক দফা লিড এনে দেন এমবাপ্পে। মেসির শট ডি-বক্সে আলি আল বুলায়হির হাতে লাগলে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।
ম্যাচের ৬১তম মিনিটে রোনালদোকে তুলে নেন অল-স্টার কোচ। প্রীতি ম্যাচ হওয়ায় পিএসজি কোচও কিছুক্ষণের ব্যবধানে বদলি করেন মেসি, নেইমার, এমবাপ্পে, রামোসদের। তাতে উত্তেজনা কমে গেলেও গোলের অভাব হয়নি। ৭৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ৫-৩ করেন এমবাপ্পের বদলি নামা একিতিকে। মাঝমাঠের কাছে সতীর্থের রক্ষণচেরা পাসে বল পেয়ে যান তিনি। এরপর অনেকটা দৌড়ে ডি-বক্সে ঢুকে জাল কাঁপান। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দূর থেকে নেওয়া শটে ব্যবধান কমান তালিস্কা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.