রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় অবশেষে বিতর্কিত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করতে বাধ্য হলো সিন্ডিকেট

 

রংপুর ব্যুরো: শিক্ষার্থী এবং রংপুরবাসীর সর্বসাধারনের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে অবশেষে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে নিয়োগ দেয়া এক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করতে বাধ্য হলো কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম ভেঙ্গে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ওই নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। শুক্রবার সিন্ডিকেটের এক বৈঠকে ওই নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ও সিন্ডিকেট সদস্য সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর জানান, গত ২৩ জুন ৫৬তম সিন্ডিকেট সভায় ৯ টি বিভাগে ১১ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। এরমধ্যে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ডিভলোপমেন্ট অলটারনেটিভ (ইউওডিএ) থেকে স্নাতক স্নাতোকোত্তর পাশকরা আসফারা হককে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ওই নিয়োগটি নিয়ম ভেঙ্গে করা হয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে আসছিল। এরই প্রেক্ষিতে শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত ৫৭তম সিন্ডিকেট সভায় ওই নিয়োগ বাতিল এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা প্রার্থীদের নিয়োগ না দেয়া দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এটি কার্যকর হতে সময় লাগবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬তম সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ পাওয়ার পরের দিন২৪ জুনই আফসারা হোক প্রভাষক হিসেবে গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে যোগদান করেন।

এই নিয়োগ বাতিলের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বাধ্য হয়ে ওই নিয়োগটি বাতিল করেন ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। সূত্র জানায়, ভিসির নিজস্ব পছন্দের মানুষের সুপারিশে ওই নিয়োগটি দেয়া হয়েছিল।

এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ জানান, নিয়ম ভেঙ্গে প্রথা ভেঙ্গে এমন নিয়োগ দেয়া হয়েছিল যা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই নিয়োগটি দিয়ে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে বিতর্কের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের ইতিহাসে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত কালোতালিকাভূক্ত হয়ে থাকবে।

এ ব্যপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আবু কালাম মো. ফরিদ উল ইসলাম নয়া দিগন্তকে জানান, নিয়োগটি নিয়ে পাবলিক সেন্টিমেন্ট তৈরি হওয়ায় প্রশাসন মনে করেছে নিয়োগটি ঠিক হয়নি। তাই বাতিল করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.