রেজিষ্ট্রেশনসহ বিভিন্ন দাবীতে সিএনজি চালকদের সংবাদ সম্মেলন 

রংপুর প্রতিনিধি: রসিক ও আরপিএমপিতে দ্রুত রুট পারমিট ও রেজিষ্ট্রেশনের দাবীতে শনিবার দুপুরে “রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব” মিলনায়তনে “রংপুর মেট্রোপলিটন সিএনজি মালিক ও শ্রমিক সমিতিসহ পরিবহন শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে প্রিন্ট এন্ড ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে  সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন,রংপুর মেট্রোপলিটন সিএনজি মালিক ও  শ্রমিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিএনজি মালিক ও শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মির্জা দাবি করে বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় থেকে গংগাচড়া উপজেলার মহিপুর শেখ হাসিনা দ্বিতীয় তিস্তা সড়কসেতু হয়ে লালমনিরহাট কাকিনা পর্যন্ত সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এতেই যা, নুন্যতম অর্থনৈতিক আয় তা দিয়েই সিএনজি চালক কোন রকম পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে থাকেন।
সড়কে যানজট ও বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি বিবেচনা করে রংপুর-লালমনিরহাট দুই জেলার বিভিন্ন চর অঞ্চলের যাএীদের পরিবহনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় এলাকায় ‘১৫ শতক’জমি লিজ নিয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডও প্রতিষ্ঠা করেন।আবার, মেট্রোপলিটন সিএনজি মালিক ও শ্রমিক সমিতির সভাপতি, তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময় রাস্তায় কর্তব্যরত সার্জনসহ থানার বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তা চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে পুলিশ অভিযোগ করেন রেজিষ্ট্রেশন না থাকার।
তবে,বিআরটিএ অফিস ও মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নানান প্রশ্নের জটিলতাকে পিছনে ফেলে সকল সিএনজিচালক সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে চাইলেন সহযোগিতা। রংপুর মেট্রোপলিটন সিএনজি মালিক ও শ্রমিক সমিতির, সাধারণ সম্পাদক – মিজানুর রহমান মির্জা মানবিক দিকবিবেচনার জন্য বিনয়ের সঙ্গে বিআরটিএ কতৃপক্ষসহ রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,
সিএনজি বন্ধ হয়ে গেলে প্রায় ৩০০ পরিবারের ১৫০০বেশি সদস্যরা না খেয়ে মানবেতর দিনযাপন করবেন। দীর্ঘদিন ধরে এই পথে সিএনজি চালিয়ে জীবনযাপন করছে তারা। তাই বন্ধ না করে দ্রুত রংপুর নগরীতে সিএনজি রেজিস্ট্রেশন ও সড়কে চলাচলের জন্য দ্রুত অনুমোদনের দৃষ্টি প্রার্থনা করেন।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে সিএনজি চালকসহ বক্তারা আরও বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী- বগুড়ায় সিএনজি রেজিস্ট্রেশন রুট পারমিট থাকলেও রংপুর বিভাগীয় শহরে এখন পর্যন্ত সিএনজি পরিবহনকে ঘিরে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেননি -বিআরটিএ রংপুর কর্তৃপক্ষ।
অদৃশ্য সিন্ডিকেট ও রাজস্ব বঞ্চিত সহ নানাবিধ কারণে নীরব ভূমিকায় বিআরটিএ রংপুর কর্তৃপক্ষ। ফলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত সহ নানান হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাই দ্রুত অবিলম্বে,রংপুর-গঙ্গাচড়া,জলঢাকা-আনোয়ারমারী-কৈমারীসহ বিভিন্ন রুট অনুমোদন ও সিএনজি রেজিস্ট্রেশন দেয়ার দাবি জানাই। যদি আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে মূল্যায়ন না করা হয়।
তাহলে, পরিত্র ঈদ উল ফিতরের পরে আমরা সকল পরিবহন শ্রমিকসহ সিএনজি মালিক ও শ্রমিক যৌথ উদ্যোগে একএে মিলে রংপুর বিভাগে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। মানবিক দিক বিবেচনা করে শ্রমিকদের ন্যার্য দাবি দ্রুত রেজিষ্ট্রেশন ও রুট পারমিট দেওয়ার জনা পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ মাটি ও মানুষের নেতা জনাব মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা সিটি মেয়র মহাদয়ের বিনয়ী দৃষ্টি কামনা করছি।
এসময় রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি-নজরুল ইসলাম রাজু, সাধারণ সম্পাদক-সরকার মাজহারুল মান্নান,প্রচার সম্পাদক-এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন, রংপুর মেট্রোপলিটন সিএনজি মালিক-শ্রমিক সমিতি সহ-সভাপতি ইলিয়াস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাখুসহ প্রায় শতাধিক সিএনজি চালক-মালিক-শ্রমিকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.