বিশেষপ্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার আলোচিত মেয়র মুক্তার আলী অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে থাকা পুলিশের কাছে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তবে রিমান্ডে তিনি কী জানাচ্ছেন পুলিশ তা এখনই জানাতে চাচ্ছে না।
গতকাল শনিবার (১০ জুলাই) রাতে এ বিষয়ে এসআই তৈয়ব আলী বলেন, তদন্তাধীন মামলায় এখনও সব কিছু প্রকাশ করা যাবে না। তবে এতটুকু বলতে পারি— তিনি মুখ খুলছেন। অনেক প্রশ্নেরই তিনি উত্তর দিয়েছেন। অনেক কথা বললেও সব কিছুই তো বিশ্বাস করা যায় না। এসব আবার তদন্ত করতে হবে। আমরা কোনো কিছুই গোপন রাখব না, সব পরে জানাব।
গত শুক্রবার (০৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪-এর বিচারক আরিফুল হক মেয়র মুক্তার আলীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঘা থানার এসআই তৈয়ব আলী মেয়রের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করার পর মুক্তার আলীকে রাজশাহীর পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার আড়ানী পৌরবাজারে এক কলেজশিক্ষককে মারধর করেন মেয়র মুক্তার। এ নিয়ে ওই শিক্ষক মামলা করেন। রাতেই পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৯৪ লাখ টাকা, সই করা চেক, আগ্নেয়াস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার করে। আটক করা হয় তার স্ত্রী ও দুই ভাতিজাকেও।
পরে গত শুক্রবার (০৯ জুলাই) ভোরে পাবনার পাকশী এলাকা থেকে মুক্তার আলী ও তার শ্যালককে গ্রেফতার করা হয়। এর পর মেয়রের বাড়িতে অভিযান চালানো হলে আবারও মেলে এক লাখ ৩২ হাজার টাকা, দেশীয় অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধার করা হয়।
মুক্তার আলী ১৬ জানুয়ারি মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোট করায় আড়ানী পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এখন তার নামে মামলার সংখ্যা ১০টি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.