রাশিয়ার দাবি ইউক্রেন হামলা করেছে, ইউক্রেনের দাবি রাশিয়া করেছে

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্করুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দখলে থাকা দোনেৎস্কের ওলেনিভকা নামক একটি স্থানে অবস্থিত কারাগারে শুক্রবার রকেট হামলার ঘটনা ঘটে।
এ কারাগারে আটক ছিলেন ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দিরা। হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন নিহত ও ৭০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রাশিয়া ও ইউক্রেন একে-অপরকে দোষারোপ করছে। রাশিয়া দাবি করছে ইউক্রেন হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে ইউক্রেন দাবি করছে রাশিয়া হামলা করেছে।
রুশপন্থি নেতা ড্যানিশ পুসিলিন দাবি করেছেন, ইউক্রেন এ হামলা চালিয়েছে। তার মতে কারাগারে আটকে থাকা সেনারা বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধ সংঘটন করার কথা স্বীকার করছিল। এ কারণে প্রমাণ ধ্বংস করে দিতে কারাগারে হামলা চালিয়ে নিজ সেনাদের হত্যা করেছে ইউক্রেন।
পরবর্তীতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো হিমার্স রকেট লঞ্চার দিয়ে ইউক্রেনের সেনারা হামলা চালিয়েছে।
রাশিয়ার দাবি, কারাগারে মারিউপোলের আজভ ব্রিগেডের সেনা ও সাধারণ ইউক্রেনের সেনারা ছিল।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনের সেনারা যেন আত্মসমর্পণ না করে সেই বার্তা দিতে কারাগারে আটক সেনাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলাকে ‘ইচ্ছাকৃত উস্কানি’ বলেও অভিহিত করেছে রাশিয়া।
তবে ইউক্রেন হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, রাশিয়াই কারাগারে হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধবন্দিদের ওপর তারা যেসব নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছিল সে প্রমাণ মুছে ফেলতে ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দিদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তাছাড়া ইউক্রেন যুদ্ধাপরাধ করছে- এ নাটক সাজাতেও হামলা করা হয়েছে।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ জানিয়েছেন, মিসাইল ও কামান ফোর্স জানিয়েছে, তারা দোনেৎস্কের ওলেনিভকা লক্ষ্য করে কোনো হামলা চালায়নি।
এদিকে ইউক্রেনের যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন জানিয়েছে, ওই কারাগারে আজভ বিগ্রেডের সেনাদের আটকে রাখা হয়েছিল।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে তারা আরও জানিয়েছে, বর্তমানে নিহত ও আহতদের তালিকা করছেন তারা।
এই কারাগারটিতে বন্দি থাকা সেনাদের সঙ্গে দেখা করেছিল রেড ক্রসের প্রতিনিধিরা। তারা এখন পর্যন্ত হামলার বিষয়ে কিছু জানায়নি। (সূত্র: সিএনএন)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.