রামেক হাসপাতাল পাখিদের অভয়ারণ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: শামুকখৈল প্রজাতির হাজার হাজার পাখির অঘোষিত অভয়ারণ্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল চত্বর। শামুকখৈল পাখির দেখা মেলে বিগত পাঁচ বছর থেকে। পাখির মিষ্টি কলতানে মূখর হয়ে থাকে হাসপাতাল চত্বর। সারাদিনই সেখানকার গাছে গাছে পাখিদের কিচির-মিচির শোনা যায়।
উপযুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে সেখানে এমন পাখিদের সমারোহ। পাশাপাশি, হাসপাতাল কতৃপক্ষও পাখিদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। সেখানে গাছে গাছে পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল। পাখি শিকারমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে হাসপাতাল চত্বর ও হাসপাতালের সামনের রাস্তার গাছে।
হাসপাতাল এলাকায় প্রবেশ করা মানে পাখিরা নিরাপদ। আর এ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন হাসপাতালের সবাই। পাখি শিকার রোধে যথেষ্ট সচেতন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি সময়ে শামুকখৈল পাখির আগমন ঘটে এবং অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে যেখান থেকে সেখানে চলে যায়।
রামেক হাসপাতাল চত্বরে প্রতিদিনই পাখি দেখতে যান বিভিন্ন এলাকার মানুষ। বিশেষ করে প্রজনন মৌসুমে শামুকখৈল ও বক পাখি দেখতে বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিটিসি নিউজকে বলেন, অতিথি পাখি রামেকে কেন আসে জানি না। তবে এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। তাছাড়া রামেকের রাস্তার আশপাশে বড় বড় বনজ গাছ, কড়ই গাছ থাকার ফলে এখানে অতিথি পাখির অভয়ারণ্য তৈরি হতে পারে। অতিথি পাখি আসার ফলে নগরবাসী অনেক খুশি। গাছগুলো রাস্তার ধারে হওয়ায় পাখিরা মল ত্যাগ করলে অনেক মানুষের শরীরে পড়ে। অতিথি পাখি ভালোবাসায় হাসপাতালের সবাই এই বিব্রতকর অস্থাকে মেনে নিয়েছে।
পাখি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ নজরদারী রয়েছে হাসপাতাল জুড়ে। বাহির থেকে কেউ এসে এই অতিথি পাখি শিকার করতে পারবে না। আমরা চাই অতিথি পাখি এখানে নিরাপদে থাকুক। তিনি আরও বলেন, শামুকখৈল সাধারণত এখানে প্রজননের জন্য আসে। এরপর বাচ্চা বড় হলে বাচ্চা নিয়ে তাদের গন্তব্যে চলে যায়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.