রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত


রাবি প্রতিনিধি:  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি (রুরু) ১৮তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় রুরুর কার্যালয়ে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করা হয়।

এরপর রাকসু ভবনের সামনে বেলুন, ফেস্টুন উড়ানোর পর একটি বর্নাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করার পর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে শেষ হয়।

পরে বেলা ১১টায় সিনেট ভবনে ‘আগামী দিনের সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল।

অনুষ্ঠানে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ফরিদের সঞ্চলনায় ও সভাপতি মর্তুজা নুরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন রাবি উপ উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু, জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল বলেন, গণমাধ্যম হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ব। রাষ্ট্রের অন্য তিনটি স্তম্ব যদি লরভরে হয়ে যায় সেক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যম সেগুলোকে প্রভাবিত করে। এবং সুষ্ঠুভাবে চলতে পথ প্রদর্শন করে। তাই রাষ্ট্র সঠিকভাবে পরিচালিত হবার জন্য সংবাদ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকা জরুরী। সাংবাতিকতাকে ‘ওয়াচ ডগ’র সাথে তুলনা করা যেতে পারে। পালিত কুকুর যেমন বাড়ি পাহাড়া দেয় তেমনি সংবাদকর্মীরা রাষ্ট্রের দেখাশুনা করবে।

সংবাদ পত্রিকার ইতিহাস বর্ণনা করে তিনি বলেন, সময়ের পরীবর্তনে সংবাদ মাধ্যমে একটি পরিবর্তন এসেছে। সাংবাদিকতার একটি ইতিহাস রয়েছে। শুরুর দিকটা প্রিন্ট নির্ভর ছিল। অনলাইনের প্রবণতা তেমনভাবে ছিলো না। সে সময় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হবার পরেই সবাই কোন বিষয় সম্পর্কে অবগত হতো। তবে এখন সকল পত্রিকাগুলো অনলাইন নির্ভয় হয়েছে। এতে করে তাৎক্ষণিকভাবে যেকোন তথ্য পাওয়া সম্ভব। পত্রিকাগুলো অনলাইন ভিত্তিক হওয়ার কারণে প্রিন্ট পত্রিকার প্রবণতা কমতে শুরু করে। অনলাইনের প্রভাবে আমেরিকায় একসময় দুই হাজার পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত তিন হাজার অনলাইন এবং প্রন্ট পত্রিকা চলমান।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা বলেন, দিনের পর দিন সংবাদ মাধ্যমে পরিবর্তন আসলেও সাংবাদিকতা রয়েই গেছে। ভবিষ্যতেও সাংবাদিকতা থাকবে হয়তবা শুধু সংবাদ মাধ্যম পরিবর্তন হয়ে নতুন মাত্রার গণমাধ্যম আসবে। সংবাদ মাধ্যম যে মাধ্যমেই হোক না কেন একজন সাংবাদিককে অবশ্যই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে হবে। সংবাদকর্মীকে ডাক্তারের সাথে তুলনা করা যায়। ডাক্তার যেমন রুগীর চিকিৎসা করে তেমনি একজন সংবাদকর্মী সমাজ, দেশ ও জাতীর সেবা করে থাকে। একটি সংবাদ প্রকাশের দেশ ও জাতীর যেমন কল্যাণ হতে পারে ঠিক তেমনি একটি সংবাদই পারে দেশ ও জাতিকে ধ্বংশের দিকে নিয়ে যেতে। তাই সাংবাদিকদের প্রচুর অধ্যয়ন করতে হবে। একজন মানুষ মেধাবী হতে পারে তবে পড়াশোনা একজন মানুষের মনুষত্বকে জাগ্রত করে। তাই সংবাদকর্মীকে অনেক অধ্যায়ন করতে হবে, মনুষত্বহীন সাংবাদিক হওয়া যাবে না।

এ সময় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ বলেন, সংবাদ মাধ্যমে দিনের পর পরিবর্তন আসছে। এই পরিবর্তনের ফলে আগামী দিনের সাংবাদিকতায় অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসবে। যেটা আমাদেরকেই মোকাবেলা করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা পারে এই চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.