রাবিতে ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালানোর আহ্বান


রাবি প্রতিনিধি:  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শুদ্ধি অভিযান চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে মশাল মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। এর আগে একটি মশাল মিছিল রাকসু ভবন থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসে প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার চাকরি নিয়ে ‘দর কষাকষির’ অডিও ফাঁসের ঘটনায় তাঁদের পদত্যাগ চেয়ে লাগাতার আন্দোলন শুরু করে।

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, ছাত্র ফেডারেশন ও রাকসু আন্দোলন মঞ্চ যৌথভাবে এসব কর্মসূচি পালন করে আসছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলনের সঞ্চালনায় সমাবেশে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে দুর্নীতির বিরদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, সারা দেশব্যাপি যে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।

আমরা প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে দুর্নীতি হচ্ছে, আসুন এই সচিত্র দেখে যান, এখানে তদন্ত করু, যারা যারা জড়িত এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের বহিষ্কার করুন। এদেরকে প্রত্যাখ্যান করুন।

অন্তর আরো বলেন, আমরা বলতে চাই, বাংলাদেশ সরকারের যে উদ্যোগ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের যে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছে, তারই অংশ হিসেবে তাদের যে প্রতিনিধি দুদক, এমনকি ইউজিসি, তারা যেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দুর্নীতির সঠিক চিত্র আমাদের সামনে হাজির করে। বাংলাদেশের জনগণের সামনে হাজির করে। আমরা দেখতে চাই কারা কারা দুর্নীতিবাজ, তাদেরকে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উৎখাত করতে হবে।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি রাশেদ রিমন বলেন, আমরা লজ্জা পাই যখন দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রো-ভিসি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। আবার লজ্জা পাই যখন এই আর্থিক কেলেঙ্কারির অপব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমরা আগেও বলেছি কোন প্রকার অপব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করা যাবে না।’ এসময় তিনি তাদেরকে (উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য) ‘সময় থাকতে’ পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।

এর আগে গত বুধবার মশাল মিছিলের মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে আন্দোলনকারীরা। গতকাল শুক্রবার পদযাত্রা, অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ পালন করা হয়।

উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় তারা। তবে উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনের অপসারণের দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলনে নামলেন বৃহস্পতিবার। পূজার ছুটি শেষে শিক্ষকরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.