রাবিতে গ্রন্থাগার দিবসে শিক্ষার্থীদের গ্রন্থাগারে বই নিয়ে প্রবেশের দাবি

রাবি প্রতিনিধি: ‘গ্রন্থাগারে বই পড়ি, আলোকিত মানুষ গড়ি’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১০টায় দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এসব কর্মসূচির আয়োজন করে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ডিসকাশন রুমের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও বই নিয়ে প্রবেশের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকালে গ্রন্থাগার প্রশাসকের মাধ্যমে উপাচার্য অধ্যাপক এম. আব্দুস সোবহান বরাবর আবেদনপত্র জমা দেন।

জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে উপাচার্য বলেন, গ্রন্থাগার হচ্ছে জাতির জ্ঞান সম্ভার। যেকোন জাতিকে ধ্বংস করতে হলে সে জাতির গ্রন্থাগারকে ধ্বংস করাই যথেষ্ট। আমাদের সমাজ, জাতি, ঐতিহ্য ও ইতিহাস কোন কিছুই জানা যেত না যদি না গ্রন্থাগার থাকত। দিবসটি পালন করা হচ্ছে তরুণদের সচেতন করার জন্য যাতে তারা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে।

‘একজন মানুষ নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করে শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ইত্যাদি চর্চার মাধ্যমে। এই নেতৃত্ব যদি জ্ঞান সমৃদ্ধ না হয়, নেতৃত্বে যদি দেশপ্রেম, সততা ও দূরদর্শিতা না থাকে তবে সফলতা আসবে না। আর সফল না হলে দেশেরও উন্নয়ন হবে না। ব্যক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে সবাইকে। জ্ঞান অর্জনের মধ্য দিয়ে হতে হবে সত্যিকারের মানুষ।’

শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, চৌধুরী মো. জাকারিয়া, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার, গ্রন্থাগার প্রশাসক অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র শীল, ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি মোহাম্মদ খালিদ আলমসহ বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রন্থাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.