রানীনগর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান


নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রানীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের একটি দল অভিযান পরিচালনা করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে দুদক রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে চার কর্মকর্তা এ অভিযান পরিচালনা করেন। প্রায় ২ ঘন্টা অভিযান শেষে তারা চলে যান।

জানা গেছে, বিকেল ৩টার দিকে রানীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার রাশিদা ইয়াসমিন মিলির কক্ষে দুদকের চার কর্মকর্তা প্রবেশ করেন। এরপর সাব-রেজিস্ট্রার কক্ষের দরজা বন্ধ করে দিয়ে দুদক কর্মকর্তারা প্রায় দুই ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করেন। সাব-রেজিস্ট্রি অফসি থেকে দুদকরা বের হয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টা জানতে চাইলে দুদকের কোন

 

কর্মকর্তারা মুখ খুলেননি। এমনকি ছবিও তুলতে দেয়া হয়নি ।

এ ব্যাপারে রানীনগর সাব-রেজিস্ট্রার রাশিদা ইয়াসমিন মিলির সাথে স্থানীয় সাংবাদিকরা তার অফিসে কথা বলতে গেলে তিনি সাংবাদিকের কোন তথ্য না দিয়ে অসাদাচারণ করেন।

রানীনগর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান বাচ্চু বলেন, দুদকরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান পরিচালনা করে অফিসের ভেতরে বিভিন্ন কাগজপত্র ঘেটে দেখেন। তবে কোন কিছু তারা পাননি। এরপর দুদক আমাকে জিজ্ঞাসা করেন- জমি রেজিস্ট্রির সময় দলিল প্রতি এক হাজার টাকা করে আমরা দিয় কিনা। আমি বললাম, এ ধরনের কোন টাকা আমাদের কাছ থেকে নেয়া হয়না।

তিনি আরো বলেন, এ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাঁচ জুটি স্বামী-স্ত্রী চাকুরি করেন। স্ত্রীরা নকলনবিশ (কপিস্ট) এবং স্বামীরা দলিল লেখক। যা মোটেও উচিত না। এতে অনিয়ম দূর্নীতি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। আমরা উদ্যোগ নিয়েও এটা দুর করতে পারিনি। এটা নিয়ে শিগগিরই পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

দুদক রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। জমি রেজিস্ট্রিতে টাকা বেশি নেয়া হয়। স্বামী-স্ত্রী জুটি বেঁধে চাকরি করছেন। এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি।

উল্লেখ্য, ইত্যেপূর্বে বেশ কিছু দিন থেকে রানীনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন সময় জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, এই অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় দুদক কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা করেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নওগাঁ প্রতিনিধি মো: আব্বাস আলী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.