রাণীশংকৈলে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলকপি চাষিরা

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ  রাণীশংকৈলে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলকপি চাষিরাচাষকে আঁকড়ে ধরেছেন। গত বছরের তুলনায় উপজেলার দিহট, রাউতনগর, ধুমডাঙ্গি মাষ্টারপাড়া, গুচ্ছ গ্রামসহ বিভিন্ন উঁচু এলাকায় এবার প্রায় একশত বিঘার অধিক জমিতে ফুলকপির আবাদ করছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রাণীসাগর এলাকার ইউসুফ আলী (৫৫) জানান, গত বছর তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি লাগিয়ে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ করেছেন। এবারও কপি চাষ করছেন এবং ক্ষেত প্রতিনিয়ত পরিচর্যা করছেন। আশা করছি এবারও ভাল লাভ করতে পারবো।’ তিনি জানান, এবার এই এলাকাতে প্রায় একশত বিঘার উপরে ফুলকপি আবাদ হচ্ছে। ঐ এলাকার তরিকুল নামে এক কৃষক বলেন ,লাভের আশায় কৃষক কিন্তু এই আগাম শীতকালীন সবজি ফুলকপি চাষে বেশ আগ্রহী। দাম থাকলে আমরা লাভবান হবো ইনশাল্লাহ।

স্থাণীয় একজন ইউপি সদস্য বিটিসি নিউজকে জানান, উপজেলায় বিগত দিনে টাকা প্রতি কেজি দরে কপি বিক্রি করে ক্ষেত থেকে কপি তোলার পর কোন লাভের মুখ দেখতে পাননি চাষিরা। খরচ নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় এই মৌসুমে কপি চাষিদের। অনেকে আবার ঘরে কপিচাষে বিনিযোগ করা টাকা ফেরত না পেয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে বিপাকে পড়েছিলেন । কিন্তু বর্তমানে আগাম কপি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কপি চাষিরা। তাই এবার আগাম লাগানো ফুলকপি ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

গত ক’বছর ধরে কপিচাষ করে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে চাষিরা বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, উপজেলায় আগাম ফুলকপি চাষিদের মুখে এবার হাসি ফুঁটবে বলে অনেকে মনে করেছেন।

জানা যায়, ফুলকপি চাষে বিঘা প্রতি অনুমানিক খরচ প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। ভাল বাজার দর পেলে ক্ষেত থেকে পাইকারি দরে বিঘায় এক লক্ষ টাকার কপি বিক্রি’র আশা চাষিদের। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে এবার ব্যাপকভাবে চোখে পড়েছে আগাম শীতকালীন সবজি ফুলকপি চাষের চিত্র। বাম্পার ফলনের সঙ্গে আশা কাঙ্খিত দরের।

এদিকে দেহট এলাকার কৃষকদের প্রায় দিনই শিবদিঘির প্রাত্যাহিক সকালের সবজি বাজারে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে ফুল কপি বিক্রি করতে দেখা যায়। মানুষের ধারণা এ ধারা অব্যাহত রাখা গেলে এ অঞ্চলে কৃষিতে ক্ষতি পুষিয়ে বড় ধরণের পবিবর্তন হবে বলে মনে করেন।

রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি অফিসার সনজয় দেব নাথ বিটিসি নিউজকে বলেন, এ উপজেলায় প্রায় ১১০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি-পাতাকপি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এদিকে কৃষকদের কপি ভাল ফলন পেতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে দিহট,ভরনীয়া,রাতনগর, রাণীসাগর লেহেম্বা এলাকার ফুলকপি চাষিদের।

এবার খুব আগ্রহের সাথে পরিচর্যা করছেন। তাই আগের বছরগুলোতে লোকশান পুষিয়ে এবার লাভের মুখ দেখতে আশাবাদী এ উপজেলার ফুলকপি চাষিরা। তিনি আরোও বলেন, আমরা মাঠ পর্ষায়ে কপির ভাল ফলনের জন্য চাষিদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। আমাদের বিশেষ করে অফিসের উপকৃষি কর্মকর্তা-রাশেল আরম পলাশ,সাখোয়াত হোসেন, মাসুদ রানা

মাঠে গিয়ে ফুলকপি চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন।কারন চাষিদের কোন ধরনের পরিচর্যা নিতে হবে? কখন সেচ, সার, ঔষুধ প্রয়োগ করতে হবে? সার্বক্ষনিভাবে মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন এবং পরামর্শ পেয়ে কৃষকরাও দারুণ খুশি। আগাম জাতের কারণে কিছু পার্থক্য আছে, সেই সব বিষয়গুলি আমরা কৃষকদের অবহিত করছি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম শিল্পী। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.