রাজশাহী সহ সারা দেশে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোজ্য তেল বিশেষ করে সোয়াবিন এর দাম একটু একটু বাড়তে বাড়তে ক্রেতারা মাসুল গুনছেন।বাজারে চালের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে ভোজ্য তেলের দাম। খুচরা পর্যায়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম যেমন কিছুটা বেড়েছে, তেমনি বাড়তি খোলা সয়াবিন তেলের দাম।
কয়েক সপ্তাহর ব্যবধানে কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। ভোজ্য তেলের দাম বাড়লেও এক দুই টাকার হেরফেরে কমেছে সবজির দাম।
আজ শুক্রবার (২৯ জানুয়ারী) নগরীর সাহেববাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১২৭ টাকা। এছাড়া খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকা থেকে ১১৬ টাকা দরে।
বিক্রেতারা জানান, বাজারে চালের দাম আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। তবে তেলের দাম প্রতিদিন বাড়তেই আছে। তেল পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে যার জন্য তেলের দাম বেশি। তবে আমরা খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রি করতে পারচ্ছি না।
নগরীর চালের বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি আটাশ চাল ৫৩ টাকা থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা, চিনিগুড়া চাল ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা, বাসমতি চাল ৭০ টাকা, গুটিস্বর্ণা ৪২ টাকা থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রতিকেজি মসুরের ডাল ৭০ থেকে ১০০ টাকা, মুগের ডাল ১৩০ টাকা, কালাইয়ের ডাল ১৩০ টাকা, বুটের ডাল ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ভেদে সবজির দাম অনেকটা ক্রেতাদের হাতের নাগালে রয়েছে। বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, শিম ২০ টাকা, গাজর ১৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, সালগম ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা, ব্রকলি ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, পেঁয়াজের ফুলকা ১০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, রসুন ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, আদা ৮০ টাকা ,বাঁধা কপি ও ফুল কপি ১০ টাকা, লাউ ২০ টাকা এবং কলা ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শাকের মধ্যে লাল শাক ,সবুজ শাক ও পালং শাক ২০ টাকা এবং খেসারির শাক ৩০ টাকা আটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি ইলিশ মাছ ৬০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই মাছ ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, কাতল মাছ ১৬০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, ট্যাংড়া মাছ ৩০০ টাকা, মাগুর মাছ ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, শোল মাছ ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, গুচি মাছ ৩০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৫৪০ টাকা দরে। এছাড়া খাসির মাংস ৮০০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৪০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা, বয়লার মুরগি ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৫৫ টাকা থেকে ১৭০ টাকা, কক মুরগি ২০০ টাকা, হাঁসের মাংস ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের মধ্যে সাদা ফার্মের ডিম ২৫ টাকা এবং লাল ফার্মের ডিম ২৭ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.