রাজশাহী মহানগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের সড়কের প্রবেশ মুখে ট্রাকের সারি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক দখল করে ট্রাকের দীর্ঘ সারির কারণে এক মাসের অধিক সময় ধরে সড়কটি প্রায় বন্ধ করে রেখেছে স্থানীয় একটি দালাল চক্র। ফলে ওই সড়কটিতে দিনরাত যানজট লেগেই থাকছে, ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা, নষ্ট হচ্ছে সড়ক।

এনিয়ে ওয়ার্ডটির কাউন্সিলর ট্রাফিক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছে না। অভিযোগ রয়েছে দালাল চক্রটি ট্রাক পার্কিং এর নামে এই ট্রাকগুলো থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে।

স্থানীয়দের দেয়া তথ্যে ও সরেজমিনে গতকয়েকদিন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর শিরোইল কলোনী সার গোডাউন থেকে শুরু করে রাস্তা ধরে পশ্চিমে বিশ্ব গোডাউন পর্যন্ত আজ এক মাসের অধিক সময় ধরে সারিবদ্ধ করে ৫০টির মতো ট্রাক রাখা হচ্ছে।

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সার গোডাউন থেকে ডিলারদের জন্য সার পরিবহণের নামে দিন-রাত ট্রাকগুলো রাস্তায় দাড় করিয়ে রাখা হয়। রাস্তার ধারে ট্রাক দাড় করিয়ে রাখায়, তা আরো সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। রাস্তার ধারেই একটি ড্রেন রয়েছে।

দীর্ঘ শারির ট্রাকের কারণে সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে অন্যান্য যানবাহন যাতায়াত করতে গিয়ে যাত্রীদের রাস্তার পাশের সেই ড্রেনে প্রায়শই পড়ে যাবার ঘটনা ঘটছে। নয়তো ব্যাটারিচালিত অটো বা রিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।

রাস্তার ধারে দিন-রাত ট্রাক থেমে থাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়া এই ট্রাকগুলোর কারণে রাস্তাটির অনেক অংশ দেবে গেছে।

এদিকে স্থানীয় ভুক্তভোগী ও ট্রাক সংশ্লিষ্টদের অধিকাংশের দাবি, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কালু ও হান্নান তাদের প্রভাব খটিয়ে রাস্তার ওপর ট্রাকের দীর্ঘ সারি করে রাখছে। আর সেই ট্রাকগুলোর প্রতিটি থেকে প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে চাঁদা তুলছেন। ট্রাক সংশ্লিষ্টদের দাবি সার গুদামে আগে প্রবেশ করিয়ে দেয়ার নামে কালু ও হান্নান এই চাঁদা আদায় করছে।

১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুর হক সুমন জানান, সার গুদামে ট্রাক পার্কিংএর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকার পরো একটি মহল ট্রাকগুলো রাস্তার ওপর রাখছে। যাতে করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এর সাথে সার গুদাম কর্তৃপক্ষের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

তিনি আরো জানান, ট্রাকগুলো রাস্তার ওপর দিনরাত বিশৃঙ্খল ভাবে যাতে রাখা না হয় তার জন্য ট্রাফিক বিভাগ ও চন্দ্রিমা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তার পরো রাস্তায় কোন ইতিবাচক পরিবর্তন হয়নি। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ কমেনি।

এবিষয়ে কথা বলতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডিসি অনির্বাণ চাকমার মোবাইল নম্বররে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.