রাজশাহী মহানগরীতে মুক্তিপণ নিতে এসে ৩ অপহরণকারী গ্রেফতার

আরএমপি প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন সাগরপাড়া এলাকার এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ নিতে আসা ৩ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে করেছে আরএমপি’র বোয়ালিয়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার কুড়ালতলা গ্রামের মো: আফজাল হোসেনের ছেলে মো: মেহেদী হাসান (২৫), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গা থানার কমিশনার গলি নবপল্লীর মৃত সাহেব আলীর ছেলে মো: জাহিদ হাসান (৩৫) ও ঢাকা মহানগরীর পল্লবী থানার মিরপুর দুয়ারীপাড়ার মৃত নাসিরুদ্দীন মন্ডলের ছেলে মো: মনোয়ার হোসেন (৬০)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকার মাসুদ আলী নামের এক ব্যক্তি জমি-জমা সংক্রান্ত কাজে ঢাকায় যান। তিনি ৫ই ফেব্রুয়ারি দিবাগত (৬ই ফেব্রুয়ারি) রাত ০০:৩৪ ঘটিকায় তার ছেলেকে মোবাইলে ফোনে জানান, এক ব্যক্তিকে আলমারীর চাবি-সহ পাঠাচ্ছি, তাকে যেন চেক বহিটা দিয়ে দেয়। তার ছেলে মিনহাজ এর কারণ জানতে চাইলে কোন কথা না বলে মোবাইল ফোন রেখে দেন। মাসুদের ছেলের কাছে বিষয়টি সন্দেহ হয় এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিষয়টি জানান। রাত ২:৩০ ঘটিকায় ৩ জন ব্যক্তি একটি প্রাইভেট কার নিয়ে মাসুদের বাড়ির সামনে এসে তার ছেলের মোবাইল ফোনে জানায় তারা চেক বহি নিতে এসেছে। তখন মাসুদের ছেলে মিনহাজ আলী বিষয়টি বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে সংবাদ দেন।
উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সোহরাওয়ার্দী হোসেনের নির্দেশে থানা পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিক সাগরপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মেহেদী হাসান, জাহিদ হাসান ও মনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেন। এসময় তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করেন।
পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) মো: আরেফিন জুয়েলের নির্দেশে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: নূরে আলমের তত্ত্বাবধানে বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের একটি টিম অবহৃত মাসুদকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন এবং আসামিদের জিজ্ঞসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায়, তারা তাদের সহযোগীদের সহযোগিতায় মাসুদকে ঢাকা বাড্ডা এলাকা হতে অপহরণ করে অজ্ঞাত বাড়ীতে আটক করে রেখেছে। দশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ পেলে মাসুদকে ছেড়ে দিত। টাকা না দিলে মাসুদকে প্রাণে মেরে ফেলার কথাও জানায়। আসামিরা একটি সংঘবন্ধ চক্র। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নিরীহ মানুষকে আটক রেখে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে।
অবশেষে আজ সন্ধ্যায় আসামিদের দেওয়া তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে রামপুরা থানা পুলিশের সহায়তায় অপহৃত ভিকটিম মাসুদ উদ্ধার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অপহরণ মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক মো: রফিকুল আলমঅতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া), রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.