রাজশাহী কলেজে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী কলেজে পালিত হল ঐতিহাসিক ‘৭ই মার্চ দিবস। এই দিবসটি উপলক্ষ্যে রাজশাহী কলেজ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপস্থাপন, কুইজ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচার।
৬ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপস্থাপন, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ৭ই মার্চ সকাল ১০টায় অধ্যক্ষ এর নেতৃত্বে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষকমন্ডলী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোসাঃ ইয়াসমীন আকতার সারমিন।
অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক ছিলেন ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকমন্ডলী এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।
মুখ্য আলোচক তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে মুক্তিযোদ্ধারা উদ্দীপ্ত হতো।
এই ভাষণের পর থেকেই সবধরনের আন্দোলন স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেয়। প্রধান অতিথি ও কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক বলেন একটি ভাষণ একটি জাতির মুক্তির সনদ হতে পারে, যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমাণ বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ।
বঙ্গবন্ধুর আজন্ম স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক, শোষণহীন ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাস্তবায়নে তিনি সকলকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন ও দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আ্হ্বান জানান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি জি, এম হাসান-ই-সালাম (বাবুল) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.