রাজশাহীর বাঘায় আ’ লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত-১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাঘার আড়ানী পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার (১৩ জানুয়ারী) রাতে আওয়ামী লীগের দলীয় এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ঐতিহাসিক তাল তলায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাটাখালি পৌরসভার নবাগত মেয়র আব্বাস আলীর উস্কানিমূলক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় লোকজন।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষ থেকে প্রায় ৬ রাউন্ড পিস্তলের ফাঁকা গুলি এবং ৮-১০টি ককটেল বিস্ফোরণ হয় বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আহত হন: বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীসহ প্রায় ১৩ জন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা ও চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র (এএসপি) নুরে আলম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শহীদুজ্জামান শহীদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তার পক্ষে আহত হয়েছেন-তুষার আলী ও লাল্টু। তাদের দু’জনকে পার্শ্ববর্তী পুঠিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তিনটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।
অপর দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর পক্ষে আহত হয়েছেন মুক্তার আলী নিজে, তার কর্মী নাজমুল হক, রানা, বকুল, মজনু, খোকন, ফারুক, জিসান, হৃদয়, জাহিদ, রাজু ও আরিফুল। এদের মধ্যে নাজমুলের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, রাত সাড়ে ৮ টার সময় প্রায় ৫ শতাধিক দলীয় নেতা-কর্মী নিয়ে আড়ানী বাজারের ঐতিহাসিক তাল তলায় এক পথসভায় উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছিলেন রাজশাহীর কাঠাখালি পৌর সভার নবনির্বাচিত মেয়র আব্বাস আলী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন-বাংলাদেশে একটি মাত্র রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। দলের বাইরে কোন ভোট হবে না। বিদ্রোহীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সুতরাং আপনরা তাকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।
এ সময় রাস্তার উত্তর দিক থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর ৮-১০ টি মোটরসাইকেল গণসংযোগ করে তার কার্যালয়ে ফিরছিলো। আকস্মিকভাবে তাদের দেখে পেছন থেকে ধর ধর করে ইট নিক্ষেপসহ ধাওয়া করে শহীদের লোকজন। এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ফের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এতে করে রাস্তার ধারে বসা সবজি ব্যবসায়ীদের অনেক ক্ষতি হয়। ভাংচুর হয় দুই দলের অফিস। ঘটনার এক পর্যায় হাজার হাজার লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে পৌর ভবনের সামনে অবস্থান নেয় মুক্তার আলী পক্ষে।
অন্যদিকে উত্তর পাশে খ্যাবা বাবার আশ্রম এলাকায় অবস্থান নেয় দলীয় প্রার্থী শহীদুজ্জামান শহীদের কর্মী-সমর্থকরা। এদিক থেকে মুক্তার আলীর জনসমর্থন ছিল অনেক বেশি। ঘটনা স্থলে তৎক্ষণাৎ প্রশাসনের লোকবল না এলে অনেক বড় রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারতো বলে মন্তব্য করেন অনেকে। তবে সকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাজারের দোকানপাট বন্ধ ছিল।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ এবং র‌্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। রাতে মুক্তার পক্ষের মিলন নামে এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো: জাহিদুল ইসলাম (শিমুল) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.