রাজশাহীর বাগমারা থেকে উদ্ধারকৃত বিষ্ণুমূর্তি দু’টির অবশেষে ঠাঁই হলো নওগাঁর পাহাড়পুর জাদুঘরে

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে উদ্ধার কালো পাথরের বিষ্ণুমূর্তি দুটি আদালতের নির্দেশে নওগাঁর পাহাড়পুর জাদুঘর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (০৯ জুন) ২০২১ ইং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাহাড়পুর জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিমের কাছে মূর্তি দুটি হস্তান্তর করেন বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ।
প্রশাসনিক সুত্র থেকে জানা যায়, চলতি বছরের গত ৩০ মার্চ উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোনগর গ্রামের মৃত অছির উদ্দীনের ছেলে আব্দুল হান্নানের বাড়ি থেকে একটি মূর্তি উদ্ধার করেন পুলিশ। মূর্তিটির উচ্চতা ২৭ ইঞ্চি এবং প্রস্থ সাড়ে ১০ ইঞ্চি, ওজন ১৫ কেজি। তবে এই মূর্তির ডান পাশের প্রায় অর্ধেক অংশ ভাঙ্গা ছিল বলে জানা গেছে।
অপর মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়েছে উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের ইয়ার বক্স প্রামানিকের ছেলে আফজাল হোসেনের বাড়ি থেকে। ওই মূর্তিটি আফজাল গনিপুর ব্রিজের নিচে পুকুরে পেয়ে ছিলেন। সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে গেলে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে থানায় নেয়। ওই মূর্তিটিও মাথা’সহ কোমর পর্যন্ত ডান পাশে ভাঙ্গা ছিল। মূর্তিটির ওজন ১ কেজি ৩০০ গ্রাম। এর উচ্চতা সাড়ে ৭ ইঞ্চি এবং প্রস্থ সাড়ে ৩ ইঞ্চি। তবে কোনো মূর্তিরই আনুমানিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি।
বিষ্ণুমূর্তি দু’টি হস্তান্তরকালে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘মূর্তি দুটি দেশের সম্পদ। তাই আদালতের নির্দেশে নওগাঁর পাহাড়পুর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাহাড়পুর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম বলেন, যেহেতু রাজশাহীতে কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর নেই, তাই আদালত ওই দুটি মূর্তি পাহাড়পুরে স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছেন। এর আগেও বাগমারা থেকে একটি মূর্তি পাহাড়পুর জাদুঘরে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়িতে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতর হওয়ার কথা রয়েছে। তখন আমাদের কাছে এই প্রত্নতাত্ত্বিক পুরাকৃতিগুলো আর আসবে না। তখন নিজ নিজ জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদফতরে তা হস্তান্তর করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.