রাজশাহী’র চন্দ্রিমা, কর্ণহার-বেলপুকুর থানা এলাকায় চলছে পুকুর খননের হিড়িক!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’ তিন ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর বা প্রজেক্ট নয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা থাকলেও রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ চন্দ্রিমা থানাধিন বালালগর গ্রামে তিন ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছেন নবিবুর রহমান নবি। তিনি পারিলা ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক।
তিনি দলীয় প্রভাব দেখিয়ে গত অনুমানিক ৫ বছর ধরে একের পর এক পুকুর খনন করে আসছেন। এতে ক্রমেই কমছে চাষের জমি। পাশাপাশি প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার।
আর এই পুকুর খননের মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়। স্থানীয়রা বলছে সেই স্বাধিনতার পর থেকে ইটভাটায় গিলছে হাজার হাজার একর ফসলি জমি। জণসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফসলি জমি নয়। তারপরও সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক শ্রেণীর পুকুর ব্যবসায়ী ও অসাধু ইটভাটা মালিকেরা স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের “ম্যানেজ”করে পুকুর খনন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইটভাটার মালিক ও স্কেবেটর মালিক তাদের প্রয়োজনে মাটি কেটে নিয়ে ফসলি জমিকে পুকুরে পরিণত করতে দালালের মাধ্যমে লোভনীয় প্রস্তাব দিচ্ছেন। এতে জমির মালিকেরা পুকুর খনন করতে খরচের পরির্বতে অতিরিক্ত টাকা পাচ্ছেন, তাতে কৃষকেরা না বুঝেই তাদের ফসলি জমি তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। কৃষকরা না বুঝে হারাচ্ছেন তাদের উর্বর ফসলি জমি, অন্যদিকে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন অসাধু এক শ্রেণির প্রভাবশালী পুকুর ও ইটভাটার ব্যবসায়ীগন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, রাজশাহী নগরীর উপকন্ঠ চন্দ্রিমা থানাধিন বালালগর গ্রামে তিন ফসলি কৃষি জমিতে পুকুর খনন করছেন নবিবুর রহমান নবি। তিনি সেখানে প্রায় ১৫ বিঘা আয়তনের পুকুর খনন করছেন।
পুকুর খননের বিষয়ে জানতে চাইলে নবিবর বলেন, আমি মেয়র সাহেবের সাথে কাজে ব্যস্থ আছি বলেই ফোন কেটে দেন তিনি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার (ওসি) সিরাজুম মনির বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাবো।
অপর দিকে নগরীর উপকন্ঠ বেলপুকুর থানাধিন মাহেন্দ্রা বাজার সংলগ্ন গ্রামে পুকুর খনন করছেন জলিল ও মোতালেব নামের দুই ভাই। গত প্রায় ৫দিন যাবত তারা প্রায় ২০ বিঘা আয়তনের এই পুকুর খনন কাজ চালালেও প্রশাসনের পক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের।
পুকুর খননের বিষয়ে জানতে চাইলে জলিল ও মোতালেব বলেন, আমরা পুকুর খনন কাজ দেখাশোনা করছি। মূল মালিক দূর্গাপুরের মারুফ।
বেলপুকুর থানার (ওসি) বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাবো।
এছাড়াও নগরীর উপকন্ঠ কর্ণহার থানাধিন দারুসা পশ্চিম পাড়া বড় বিলে মিনারুল নামের এক ব্যক্তি পুকুর খনন করছেন। পুকুরের আয়তন প্রায় ১৫ বিঘা। তারপরও নির্বাক পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
কর্ণহার থানার (ওসি) বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও স্যারের সাথে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এর মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সবমিলে পুকুর খনন কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে গেলেই সাংবাদিক হয়ে যায় ফুটবল। একজন কর্মকর্তা আরেকজন জন কর্মকর্তাকে দেখিয়ে দেন। দৌঁড় ঝাপ লেখালেখি সবই হয়। শেষ পর্যন্ত ফসলি জমি‘র শ্রেণী পরিবর্তণ হয়ে পুকুর হয়ে যায়। এই হলো বাস্তবতা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো: জাহিদুল ইসলাম (শিমুল) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.