রাজশাহীর কেশরহাটে ড্রেন নির্মাণের ঠিকাদার লাপাত্তা’ চরম জনদূর্ভোগে এলাকাবাসী ও পথচারীরা

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট-ভবানীগঞ্জ সড়কের হরিদাগাছি মহল্লায় ড্রেনেজ নির্মাণের নামে মাটি কেটে রেখে লাপাত্তা ঠিকাদার। এর ফলে ধসে পড়ছে মানুষের বসত বাড়িঘর। ব্যস্ততম পাকা রাস্তার উপর অবহেলিত ভাবে মাটি ফেলে রাখার কারণে পিচ্ছিল কাঁদায় জনদূর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী ও পথচারীরা। মানুষের চলাচলে প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে নানা রকম দুর্ঘটনা।
এলাকার ভুক্তভুগিদের অভিযোগ ঠিকাদারের উদাসিনতার দায় এড়িয়ে চলছেন স্থানীয় প্রশাসন। এতে জন-সাধারনের মধ্যে হতাশা নেমে আসছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর কেশরহাট পৌরসভার হরিদাগাছি মহল্লার খন্দকার পাড়ার পানির নিস্কাসনের জন্য অগ্রণী ব্যাংক সংলগ্ন হতে শিবনদীর পাড়ে সিরাজুলের বাড়ি পর্যন্ত একটি ড্রেনেজ নির্মীত কাজ শিবনদীর পাড়ে সিরাজুলের বাড়ি পর্যন্ত। এ কাজ পেয়েছেন হাসমত আলীর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ড্রেনেজ নির্মাণের কাজটি দীর্ঘদিন পুর্বে টেন্ডার হলেও কালবিলম্ব শেষে বর্ষা মৌসুমের চলতি মাসের গত সপ্তাহে শুরু করে ঠিকাদারী ওই প্রতিষ্ঠানটি। মেশিন দিয়ে গভীর গর্ত করার পর আর কাজে লাগেনি শ্রমিকরা। এদিকে বৃষ্টির কারণে ধসে পড়তে শুরু করেছে বাড়িঘরের আধাপাকাসহ মাটির দেয়াল। রাস্তার উপর মাটি ফেলে রাখায় যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে, এমনকি পথচারিরাও চলতে পারছে না। ইতোমধ্যেই ড্রেন নির্মাণে মাটি খনন কালীন যেন নিরুদের্শ হয়ে গেছে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, গভীর মাটি খননের জন্য বৃষ্টিপাতের কারণে এখন ধসে পড়ছে আমাদের বাড়ির দেয়াল। ক্ষতির বিষয়টি পৌর মেয়র ও প্যানেল মেয়রকে জানিয়েছি। ঠিকারদারকে বার বার ফোন করা হলেও ফোন ধরেনি। ছোট ছেলেমেয়েসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘর ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে রাতে উঠানে ঘুমাতে হচ্ছে আমাদের। কিন্তু বিষয়টি কেউ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। এজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের উর্ধতন মহলের সুদৃস্টি কামনা করছি আমরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কেশরহাট পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র রুস্তম আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, মানুষের উন্নয়নের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজনকে আর কাজে লাগতে দেখা যাচ্ছেনা। এদিকে বৃষ্টির কারণে মানুষের বাড়িঘর ধসে পড়তে শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ করার তাগিদ দিতে আমি নিজেই ঠিকাদার হাসমত আলীকে অন্তত্ব ২০ বার ফোন দিয়েছি কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
এছাড়াও স্থানীয় দৈনন্দিন ওই পথে চলাচল রত সচেতন নাগরিকদের কাছে থেকে জানা যায়, কেশরহাট পৌরসভার প্রায় ঠিকাদারী কাজ পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ ও সহকারী প্রকৌশলী সরদার জাহাঙ্গীর আলমের যোগ সাজসে নামে বে-নামে হাসমতকেই দেওয়া হয়। যার কারনে তিনি নিজ গতিতে পৌর এলাকার সকল নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে থাকেন। বিগত দিনে তিনি যেসকল কাজ করেছেন সেসকল কাজ করার পরেই নষ্ট হয়ে গেছে। আর পৌর মেয়র শহিদ তার ক্ষমতার দাপটে প্রসাশন ও এলাবাসীদের থামিয়ে রাখছেন।
তিনি নিজের স্বার্থের জন্যে পৌর জনগনের দুংখ দূর্দশার কথা চিন্তার প্রয়োজন বোধ করেন না। কেশরহাট পৌর এলাকা ঘুরলে এমনটায় চোঁখে পড়ে, অনেক জায়গায় পানি নিস্কাশনের ড্রেনই নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনেসহ রাস্তায় জমে থাকে কাদাসহ নোংরা-পচাঁ দুর্গন্ধ’যুক্ত পানি। একানকার অবহেলিত মানুষরা মেয়রকে বারবার বলে কাজ না হওয়ায় অনেকে নিজেরা অর্থের বিনিময়ে চলাচলের জন্যে রাস্তা তৈরী করেছেন। এমন দৃষ্টান্তে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ কষ্টের সামান্য অবসান ঘটিয়ে কেশরহাট যাত্রি ছাউনির পিছনের রাস্তা ও পৌর এলাকার শেষ সিমানায় রক্ষিতপাড়া যাওয়ার রাস্তায় সাধারণ মানুষের টাকায় করা হয়।
এলাকা বাসিরা এই কাজগুলো করায় পৌর মেয়র সন্তুষ্ট না হয়ে উল্টো হুমকি প্রদান করেছেন বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন। তার বিরুদ্ধে কথা বল্লে হুমকিতে জীবন যাপন করতে হয় অনেক’কে। ঠিকাদার হাসমত আলীর সাথে ০১৭২৪-৩৩৮৮৫১ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ড্রেনের কাজ বন্ধ বিষয়ে জানতে চাইলে কেশরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সরদার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠো ফোনে ০১৭১৫-৪০৮৮২২ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইলে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে তথ্য জানাতে অপরগতা প্রকাশ করেন। কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদের সাথে ০১৭১২-৫৩৭৯৮৮ নম্বরে একাধিকবার যোগযোগ করার চেষ্ঠা করলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেন নাই।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.