নিজস্বপ্রতিবেদক: উদ্দেশ্যো প্রনোদিত ভাবে হত্যার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে নাম উল্লেখের প্রতিবাদে এবং সঠিক তদন্তের প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন (৩৫) নামের এক নারী।
সোমবার দুপুর ১টায় মহানগরীর মতিহার থানার অক্ট্রয় মোড়ে (কাজলা) অবস্থিত একটি অফিসে সাংবাদিকদের উপস্থিতে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
মোসাঃ সাবিনা ইয়াসমিন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, (৬ জুন ২০২২) ভোর ৬টার দিকে বেলপুকুর রেললাইনের উত্তর পাশে মৃত হাসিবুর রহমান সাগর (১৯) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে বেলপুকুর থানা ও রেলওয়ে ঈশ্বরর্দী থানা পুলিশ।
এর আগে (৪ জুন ২০২২) রাত ৮টার দিকে বাড়ি থেকে হয়ে সাগর নিখোঁজ হয়। মৃত সাগর বেলপুকুর থানার বেলপুকুর গ্রামের মোঃ শাহাদত আলীর ছেলে। নিখোঁজের ১দিন পড়ে অর্থাৎ (৬ জুন) বেলপুকুর রেললাইনের উত্তর পাশে মৃত হাসিবুর রহমান সাগরের লাশ উদ্ধার করা করে পুলিশ। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত যুবকের লাশ তাঁর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এ ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর নিহত যুবক হাসিবুলের মা-বাবা, ছোট ভাই ও চাচা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি অনুমান নির্ভর কথা বলে আমার এবং আমার স্বামী মোঃ সুজন আলীর নাম উদ্দেশ্যো প্রনোদিন ভাবে উল্লেখ করেছে। যাহা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও একটি ফেসবুক লাইভে দেখানো হয়েছে।
এই ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মৃত যুবক হাসিবুলের মৃত্যুর ৪মাস পরে তার মায়ের এমন বক্তব্য বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর। যেহেতু হত্যা মামলাটির তদন্ত চলছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে প্রকৃত আসামীদের সনাক্ত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার। সেখানে অতি উৎসাহি হয়ে ফেসবুক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে নাম উল্লেখ করে বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার কোন প্রয়োজন নাই।
ভবিষ্যতে ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন তাদের মত প্রকাশে সচেতনাতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করেন। অন্যাথায় আদালতের দারস্থ হবেন বলেও জানান এই নারী।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে বেলপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, মৃত হাসিবুর রহমান সাগরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে অজ্ঞাত আসামী আছে। তবে কোন ব্যক্তির নাম উল্লেখ নাই। মামলাটি তদন্ত করছে ঈশ্বরর্দী জিআরপি থানা। সংবাদ সম্মেলন করে কারো নাম উল্লেখ করা অতিরঞ্জিত বলেও জানান ওসি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.