রাজশাহীতে স্কুল ছাত্রী হাসিনা ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ডের পিবিআই কর্তৃক চার্জশিট দাখিল, মিথ্যা মর্মে বাদির সংক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক: নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সঠিক বিচার না হওয়ায় এই ধরনের কার্যকলাপ এর মূল কারণ বলে মনে করেন অধিকাংশ সচেতন জনগণ।হাসিনা খাতুন (১২) ধর্ষণ পূর্বক হত্যা এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। সামাজিক মুল্যবোধ ও নীতি নৈতিকতার চরম অবক্ষয় লক্ষ্য করা যায়, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে না। যার টাকা লোকবল আছে সে টাকা দিয়ে সবকিছু তার পক্ষে নিয়ে নিচ্ছে। এটি ধনতান্ত্রিক বিশ্ব ব্যাবস্থার মারাত্মক ক্ষতিকারক দিক।
কর্ণহার থানা এলাকায় বারুইপাড়া নামক গ্রামের জনৈক আকবর আলী (৫৭),পিতা মৃত মোজাহার আলী,গ্রাম কর্নহার ,জেলা রাজশাহী ও তার ছেলে মোঃ নাজমুল হক বাচ্চু (২৩), পি বি আই  এর অনৈতিক কার্যকলাপ এর ফলে পিতা-পুত্রকে আসামী করে অবশেষে পুত্র নাজমুল হক বাচ্চু (২৩) নামে চার্জশিট দাখিল করেন। যা কর্নহার থানার মামলা নং-০৪, তাং ১৬/১২/২০১৮, জিআর নং ১০৭/১৮(কর্ন:),চার্জশিট নং-৩১।
অথচ অত্যন্ত  দুঃখের বিষয় কথিত আসামী নাজমুল হক বাচ্চু ঘটনার তিনদিন পূর্ব থেকে তার বোনের বাসায় মিঠুর মোড়,রাজপাড়া রাজশাহীতে অবস্থান করছিল।
অনুসন্ধানে জানা যায় যে,গত ১৪ ও ১৫/১২/২০১৮ ইং তারিখে বারুইপাড়া সরকারী স্কুল মাঠে রাতভর মাদারের গান হয়।উক্ত গান শোনার জন্য ভিকটিম হাসিনা খাতুন (১২),পিতা মোঃ হোসেন আলী, গ্রাম বারুইপাড়া,থানা কর্মহার,জেলা রাজশাহী তার আপন নানা আকবর আলীর বাড়ী আসেন।রাত্রি অনুমান ১০ ঘটিকায় সবাই গান শোনার জন্য যাওয়ার সময় হাসিনা খাতুনকে ডাকলে হাসিনা খাতুন তার নানা-নানীকে জানায় তার ঘুম পাচ্ছে সে গান শুনতে যাবে না।অগত্যা নানা-নানি নাতনি হাসিনা খাতুনকে বাড়িতে একায় রেখে বাইরের গেটে তালা দিয়ে উক্ত বিদ্যালয় মাঠে গান শুনতে যায়।
তৎপর রাত্রি অনুমান ১২.১৫ ঘটিকায় হাসিনা খাতুনের পিতা বাদী  হোসেন আলীকে মোঃ শরিফুল (২৭) পিতা মোঃ বুলু মিয়া,সোহেল (১৯) পিতা মজিবর রহমান,উভয় গ্রাম বারুইপাড়া জানায় আপনার ভাই আপনাকে ডাকছে আপনি বাসায় চলেন। তখন হোসেন আলী তার ভাই হাসান আলী সহ শশুর বাড়ী আকবর আলীর বাসায় এসে দেখতে পান বহু লোকজনের সমাগম। যাই হোক ঘটনাস্থল এসে বাদী দেখতে পান খাটের উপর তার মেয়ে হাসিনা খাতুনকে ধর্ষণ পূর্বক খাটের সাথে ওড়না দিয়ে বেধে গলা কেটে অত্যন্ত নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে।মেঝেতে অনেক রক্ত পড়ে থাকতে দেখেন।পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন এবং বিছানার চাদর, বালিশের কভার সহ বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেন। ঐ দিন ১৬/১২/২০১৮ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ভিকটিমের পিতা হোসেন আলী (৩৫) বাদী হয়ে কর্ণহার থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ০৪,তারিখ ১৬/১২/১৮, ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের (সংশোধিত ০৩) এর ৯(২) ধারা।
অতপর মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে আসেন পি বি আই এর পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান (নি;) ও এ এস আই গৌতম চক্রবর্তী। তদন্তকালে  বাদির সন্দিগ্ধ আসামীদের গ্রেফতার বা জিজ্ঞাসাবাদ না করিয়া বাদির শশুর অর্থাৎ ভিকটিমের নানা আকবর আলী (৫৭) এবং বাদির শালা নাজমুল হক বাচ্চু (২৩) অর্থাৎ ভিকটিমের মামাকে অত্র মামলায় গ্রেফতার করেন। পিতা-পুত্র কি এক সঙ্গে ধর্ষণ করতে পারে?কেউ কি শুনেছেন পিতা-পুত্র একসাথে ধর্ষণ করেছে?প্রশ্ন রাখেন ভিকটিমের নানা কথিত আসামী আকবর হোসেন।
অত্র প্রতিবেদন প্রস্তুত কালে এলাকার শতাধিক লোকজনকে আকবর আলী ও নাজমুল হক বাচ্চু সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন অসম্ভব পিতা ও পুত্র দুইজনের চরিত্র ভাল।তাদের কোন বদনাম নেই। পিবিআই করো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অজ্ঞাত কারণে পিতা-পুত্রকে ধর্ষণ মামলার আসামী করে।দেশে এই ধরনের ঘটনা আর দ্বিতীয়টি নেই।শত শত গ্রামবাসী এর সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বাদী মোঃ হোসেন আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আমার শশুর ও শালা দুইজনই খুব ভাল মানুষ তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারেন না।আসামীদের আমি চিনে ফেলেছি।পুলিশকে নামও বলেছি ১) মাসুম,পিতা আব্দুল মজিদ,২) হেলাল,পিতা আব্দুল খালেক,উভয় গ্রাম বারুইপাড়া,থানা কর্নহার, জেলা রাজশাহী ৩)হেলালের স্ত্রী।তাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে ঘটনায় সবকিছু বেরিয়ে আসবে।
বাদী আরও জানান,আমি তদন্তকারী অফিসার পি বি আই এর এস আই গৌতমকে বলেছি সবকিছু কিন্ত উল্টো তিনি আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।কিন্ত অজ্ঞাত কারণে পুলিশ আমার সন্দিগ্ধ আসামীদের গ্রেফতার বা জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। পুলিশ প্রথম থেকেই আমার কোন কথা না শুনে আসামীদের বাঁচানোর জন্যে ডি এন এ পরীক্ষার নামে সংগৃহিত আলামত পরীক্ষার জন্য প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ঢাকা বরাবর প্রেরণ করলে প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক দিলীপ কুমার সাহা–০১৪০২২৫৮১৬৯ নম্বর থেকে কথিত আসামী আকবর আলীকে ফোন করে টাকা দাবী করেন এবং টাকা না দিলে ফরেনসিক রিপোর্ট নাজমুল হক বাচ্চু এর নামে দেয়ার হুমকি দেন।যাহার অডিও ক্লিপ সংরক্ষিত আছে।
কর্ণহার থানার ওসি কে মোবাইলের মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করা হয় পিতা-পুত্র কিভাবে এই মামলার আসামী হন? জনাব ওসি সাহেব বলেন আপনি আমার সাথে দেখা করুন আমি আপনাকে বুঝতে পারব ফোনে এত কথা বলা যাবে না।লকডাউন থাকায় তার সাথে দেখা করা সম্ভব হয়নি।
তদন্তকারী অফিসার গৌতম চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসা করা হয় পিতা-পুত্র ধর্ষণ করে হত্যা করছে তারই নিজ বাড়িতে এটা কি সম্ভব?আমাদের সমাজে পচন ধরলেও এইরূপ পচে নি যে পিতা পুত্র ধর্ষণ করছে।তিনিও ফোনে এত কথা বলা যাবে না।আমার সাথে দেখা করুন।কিন্ত যেহেতু তিনি চার্জশিট দাখিল করেছে কারণে তার সাথে দেখা করে কথা বলা সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।
বাদী জানান কোথাও আমি বিচার পায়নি তবে আদালতের প্রতি আমার আস্থা আছে। আমার বিশ্বাস আমি আদালতে সঠিক বিচার পাব।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.