রাজশাহীতে শুরু হয়ে গেছে বর্ষবরণের নানা আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাত পেরুলেই বৈশাখের প্রথম দিন। ধূলো ওড়া চৈত্র সংক্রান্তি জানান দিয়ে গেলো সেই বার্তা। নতুন সুর্যালোকে যাত্রা শুরু হবে আরো একটি নতুন দিনের নতুন বছরের। চৈত্র সংক্রান্তি এবং পহেলা বৈশাখ পালন বাঙালীর ঐতিহ্যের অংশ। বর্ষবরণ আয়োজনে বাদ পড়েনি এ অঞ্চলের গ্রামগুলো। সবখানেই চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। কোথাও কোথাও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা।
এবারো বৈশাখ বরণে রাজশাহী জুড়ে থাকছে নানান আনুষ্ঠানিকতা। আর সব আয়োজনের কেন্দ্রে থাকবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ। সেখানে এখন সেখানকার প্রস্তুতি শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। ফলে ফুসরত নেই চারুকলা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
এবারো পহেলা বৈশাখ উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। বরাবরে মতই থাকছে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা। ঐতিহ্যবাহী নানান খাবারের আয়োজন। কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। তবে সব আয়োজন সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ করতে হবে।
নববর্ষ উদযাপনে নগরজুড়ে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি)। এ তথ্য নিশ্চিত করে নগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম বলেন, বর্ষবরণের অনুষ্ঠানস্থল ছাড়াও আশপাশের এলাকায় থাকবে পুলিশ মোতায়েন। সাদা পোশাকে কাজ করবেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। যৌথভাবে টহল দেবে র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, নগরীর শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় এক আদেশ জারি করেছে আরএমপি। ওই আদেশে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে সকল প্রকার অস্ত্রশস্ত্র বহন, আতশবাজী, বিস্ফোরক দ্রব্য ও পটকা ফুটানোসহ অন্যান্য ক্ষতিকারক দ্রব্য বিক্রি, বহন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন অমান্যকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থাও নেবে নগর পুলিশ ।
বর্ষবরণ আয়োজনে বাদ পড়েনি এ অঞ্চলের গ্রামগুলো। সবখানেই চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। কোথাও কোথাও এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা।
এদিকে, নগরবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তিনি করেন, বর্ষ পরিক্রমায় আবহমান বাংলার আঙ্গিনায় বঙ্গাব্দ ১৪২৪ শেষে এসেছে ১৪২৫। কালের পরিবর্তন আমাদের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও ব্যক্তি জীবন প্রবাহে গতি এনে দেয়। ফলে জীবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবকিছুতে দেখা যায় বৈচিত্র্য আয়োজন।
এ বৈচিত্র্যময় আবরণকে যুগোপযোগী ও ইতিবাচক বলয়ে নিয়ে আসার জন্য চাই সৃজনশীল পরিকল্পনা। সে লক্ষ্যে মহানগরীর শিক্ষা, গবেষণা, ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পর্যটন উন্নয়ন, শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সার্বিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের প্রচেষ্টা হবে আমাদের নতুন অব্দের অঙ্গীকার। এ সকল কর্মকা- বাস্তবায়নে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.