রাজশাহীতে মার্সেল কোম্পানির নকল পণ্য বিক্রির অভিযোগ     

   
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে দীপিকা ইলেকট্রনিক্স এর বিরুদ্ধে পণ্য বিক্রয়ে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মার্সেল কোম্পানির এয়ারকন্ডিশন (এসি) দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে মার্জেল কোম্পানির এসি।
ভুক্তভোগী খাদিজা আক্তার বলেন , আমি গত ৭ মে ২০২৩ তারিখে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট দীপিকা ইলেকট্রনিক্স থেকে একটি ১ টনের মার্সেল কোম্পানির এসি ক্রয় করি। বাড়িতে গিয়ে দেখি এসির গায়ে লাগানো লোগোতে MARCEL এর পরিবর্তে MARCGL লেখা আছে। ব্যস্ততার কারণে দুইদিন পর আমি দীপিকা ইলেকট্রনিক্স এ গিয়ে অভিযোগ জানায়। তারা বলে বানান কেউ পড়ে না।
তারা আরো বলে আপনার এসিতে বানান ভুল আছে সেটা আপনার সমস্যা আমাদের না। আপনার যদি লিখা নিয়ে সমস্যা হয় তাহলে এখান থেকে একটা মার্সেল লেখা লোগো নিয়ে গিয়ে আপনার এসিতে লাগান।
কোম্পানি মাঝে মাঝে ভুল করে, এসময় আমরা অন্য আরেকটি এসি দেখতে চাইলে তারা দেখাননি। এক পর্যায়ে তারা কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে এবং তার ১০ মিনিট পর, আমার ফোনে একটি OHP কোড আসে, যেটি পন্য ক্রয়ের সাথে সাথে আসার কথা ছিলো। তারপর সন্ধ্যার দিকে আমার কাছে ০১৭১৩৪৪৬৬৯১ এই নাম্বার থেকে কল আসে এবং তিনি ওয়ালটন কর্মকর্তা পরিচয় দেন আর পন্যটি তাদের দাবি করেন।
আরো বলেন কোম্পানি থেকে একটি OHP কোর্ড পাঠানো হয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করি ৭/৫/২৩ এর ম্যাসেজ ১০/৫/২৩ এ  ৩দিন পর কেন ? আমি অভিযোগ করার পর কেন পাঠালেন, উনি তার কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তারপর উনি ১৪ তারিখ রবিবার পন্যটি দেখতে আসতে চান। আমি রবিবার ও সোমবার ২দিন অপেক্ষা করার পর তারা কেউ পণ্যটি দেখতে আসেনি। আমার সন্দেহ বেড়ে যায় এবং আমি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে একটি অভিযোগ করি।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) উক্ত অভিযোগের শুনানির দিন ছিল। কিন্তু ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী জানায়, আমরা ডাকযোগে নোটিশ করেছিলাম কিন্তু নোটিস ফেরত এসেছে। বিবাদীর ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর দীপিকা ইলেকট্রনিক্স এ গিয়ে দেখা যায় সাইন বোর্ড পরিবর্তন হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দীপিকা ইলেকট্রনিক্স এ যোগাযোগ করলে তার স্বত্বাধিকারী পরিচয়দান কারি ব্যক্তি বলেন, এসি মেশিন টি সাত মাস পূর্বে  বিক্রয় করি, বিক্রয় দুইদিন পর ক্রেতা এসে অভিযোগ দেন,পরে আর তিনি যোগাযোগ করেননি। ভোক্তা অধিকারে এখন মামলা করেছেন আমরা সেই বিষয়টিও জানি না আমাদের কাছে কোন নোটিশ ভোক্তা অধিকার দেয়নি। পরের প্রশ্নে দোকানের সাইনবোর্ড পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটাও আমাদের প্রতিষ্ঠান এম আর এবং দীপিকা একই প্রতিষ্ঠান তাই আমরা সাইনবোর্ড পরিবর্তন করেছি।
সাইনবোর্ড পরিবর্তন করার ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মোঃ নূর-ঈ-সাইদ মুঠোফোনে বলেন, এমন তো হবার কথা না, একই দোকানে দুইটা সাইনবোর্ড পরিবর্তন করে ব্যবহার করা অপরাধ। আমরা দ্রুত তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। এরপর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে গিয়ে সাইনবোর্ড পরিবর্তনের বিষয়টি জানানো হয়।
এ সময় সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী বলেন, ডিসেম্বর মাসের ১১ তারিখের মধ্যে অভিযোগের শুনানি হবে। বাদী-বিবাদী দুজনের কাছেই নোটিশ যাবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.