ঘটনা সূত্রে জানা যায়, সাদাব কিবরিয়া (১৭) গত ১০ জানুয়ারি ২০২২ বর্ণালীর মোড় থেকে হেঁটে উপশহর তার বন্ধু মোঃ সৈকত (১৮) এর বাসায় যাওয়ার পথে বিকেল ৪ টায় বোয়ালিয়া মডেল থানার উপশহর উত্তরা ক্লিনিকের মোড়ে পৌঁছামাত্র আসামী মোঃ জাহেদুল ও মোঃ আলীমুজ্জামান সাদাবকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একটি রিক্সা যোগে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন গলি রাস্তা ঘুরে ঘুরে সর্বশেষ আলিফ-লাম-মিম ভাটার মোড়ে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আসামীদ্বয় সাদাবের কাছে থাকা মোবাইল ফোন হতে তার মায়ের কাছে ফোন দিয়ে নিজেকে ১৯নং ওয়ার্ডের নেতা পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনার ছেলে আমার হেফাজতে আছে, তাকে মারার জন্য লোক ঠিক করা হয়েছে, আপনি দ্রুত ২০,০০০/-(বিশ হাজার) টাকা পাঠান, টাকা না দিলে আপনার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। সাদাবের মা মোছাঃ শাহানা আক্তার (৪৪)আসামীদ্বয়ের ভয়ে তাৎক্ষণিক ১৫,৩০০/-(পনের হাজার তিনশত) টাকা বিকাশে প্রেরণ করেন। টাকা পাঠানোর অনুমান ৩৫ মিনিট পর তার ছেলে বাসায় ফিরে আসেন। আসামীদ্বয় তাকে ছেড়ে দেয়ার সময় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার নিকটে থাকা মোবাইল ফোন সেটটি কেড়ে নেয়।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মানিত পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব নিবারন চন্দ্র বর্মন পিপিএম এর নেতৃত্বে এসআই/মোঃ আরিফুল ইসলাম ও তার টিম আসামীদের সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।
পরবর্তীতেগতকাল বুধবার (১২ জানুয়ারি) ২০২২ রাত ৮ টায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলের আশেপাশের আরএমপি’র সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে বোয়ালিয়া থানার নিউ মার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ মোঃ জাহেদুল ও মোঃ আলীমুজ্জামানকে গ্রেফতার করে। এসময় আসামীদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।
উল্লেখ্য,আসামী মোঃ জাহেদুল ইসলাম একজন কুখ্যাত ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজ। তার বিরুদ্ধে একাধিক ছিনতাই, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকের মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.