রাজশাহীতে কারা একাডেমীর নামে নদী দখল বন্ধে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: “পদ্মা বাঁচাও, রাজশাহী বাঁচাও” স্লোগানকে সামনে রেখে রাজশাহীতে পদ্মা নদী তীরবর্তী হেরিটেজ ঐতিহাসিক বাবলাবন গণকবর রক্ষা এবং কারা প্রশিক্ষণ একাডেমীর নামে নদী দখল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল ১১ টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্র ও রাজশাহী বাসী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ একাডেমীর নামে পদ্মা নদী তীরবর্তি ১০০ একর জায়গা অধিগ্রহণ বন্ধের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. মাহফুজুর রহমান রাজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী বাসী সংগঠনের আহ্বায়ক মাহবুব টুংকু, অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই’র আহ্বায়ক ও রাজশাহী প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা, রাজশাহী বাসী সংগঠনের সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন রাজু, স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক রোজাউল করিম মোহাব্বত প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, একশত একর জমি অধিগ্রহণ করে কারা কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ দিয়েছে। শহররক্ষা বাঁধ পেরিয়ে নদীর অতান্তরের নতুন জেগে ওঠা চরে নির্মাণ করা হবে কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এই বিপুল জায়গা দখলের ফলে শহর নষ্ট হবে। নদীর গতি পথ বাঁধাগ্রস্থ হবে। সেখানে কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে রাজশাহী শহরের পরিবেশ আবহাওয়ার ক্ষেত্রে বিকাল প্রভাব পড়বে। নদীর নাব্যতার পরিবর্তন হয়ে বন্যার মত দুর্যোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া শহররক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।

সংহতি বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই’র আহ্বায়ক আসলাম-উদ-দৌলা বলেন, ‘রাজশাহী অঞ্চলে তাপমাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, পানির লেয়ার নিচে যাচ্ছে। পরিবেশগত বিপর্যয়ের ভুক্তভোগী অত্র অঞ্চলের আপামর জনসাধারণ। ক’দিন আগেও কারা কর্তৃপক্ষ ৫৬১টি গাছ কাটার প্রকল্প হাতে নিয়েছিলো। সেসময়ও রাজপথে নেমে এসে রাজশাহীকে বাঁচিয়েছিলেন আয়োজকবৃন্দরা। আবারও এক প্রকার নদী দখলের মতো উদ্যোগ হাতে নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এহেন অবিবেচক সিদ্ধান্তের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ২৫শে নভেম্বর জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ ও রাজশাহী প্রেসক্লাব বাবলাবন গণহত্যা দিবস পালন করে আসছে। সেই ঐতিহাসিক গণকবরটিও রক্ষা পাবে না। যখন নদী দখল মুক্ত করার কথা চলছে।

রাজধানী শহরে বড় বড় অগ্নিকান্ডে প্রায়শ প্রাণহানি ঘটছে। তখন বিকেন্দ্রীকরণের কথা ভাবতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে রাজশাহী শহরের কলেবর বৃদ্ধিরও উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। এমন সময় পদ্মা নদীর বুকে কারা প্রশিক্ষণ একাডেমী নিমার্ণের মতো উদ্যোগকে অর্থ লোপাট বা অপচয় বলে সন্দেহ প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি। আমরা চাই না সাম্প্রতিক সময়ে দৃশ্যমান হওয়া রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে অর্থ অপচয়ের ঘটনা ঘটুক। জনগণের করের অর্থে জনবিধ্বংসী কোন প্রকল্প চাই না। একই সাথে কারা প্রশিক্ষণ একাডেমী অনত্র স্থপনের দাবি জানাচ্ছি।’#

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.