রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট সংলগ্ন পদ্মায় গরুর ব্যাপারিদের ট্রলারে দিনে দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা প্রায় ৭০ জন ব্যাপারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং মারধর করে গরু বিক্রির প্রায় এক কোটি টাকা লুটের অভিযোগ করেছে গরু ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ডাকাতি সংগঠিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাঝির ঘাট, চর আব্দুল্লাহ ও মোহনপুর নৌ-পুলিশের যৌথ অভিযানে মুন্সিগঞ্জ সদরের চরকাওড়া ইউনিয়নের বাগারকান্দি গ্রাম থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২শ সিসির একটি স্পিড বোট, ৩টি পাইবগান, ২৮টি মোবাইল ফোন, ডাকাতির ১৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকাসহ ৭ জন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশের (ওসি) জেএম সিরাজুল কবির এর সত্যতা বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিকেল সোয়া ৩টার দৌলতদিয়ার ৬ নং ফেরি ঘাটের অদূরের পদ্মা নদীতে দৌলতদিয়া ঘাটগামী গরু ব্যবসায়ীদের ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জের আরিচায় গরু বিক্রি করে ট্রলারযোগে ৫০ থেকে ৭০ জন গরু ব্যবসায়ীদের দৌলতদিয়া ঘাটে যাচ্ছিলেন। দৌলতদিয়ার ৬ নম্বর ফেরি ঘাট থেকে প্রায় ১ থেকে দেড়শ গজ দূরে থাকতে একটি বড় স্পিড বোটে ১৫ থেকে ২০ জন এসে ট্রলারের গতি রেঁধো করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের সবাইকে মারধর শুরু করে। তাদের সবার হাতে অস্ত্র, রাম দাসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। টাকা দিতে না চাওয়ায় অনেককে মারধর করা হয়েছে। ডাকাতদের বেশিরভাগের মুখ বাঁধা ছিল। এ সময় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গরু বিক্রির বিভিন্ন অংশে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে যায় ডাকাত দল।
গরু ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন, মুনতাজ বেপারী, হেলাল উদ্দিন সরদারসহ কয়েকজন বিটিসি নিউজকে জানান, আরিচায় গরু বিক্রি করে তারা ট্রলারযোগে দৌলতদিয়া ঘাটে যাচ্ছিলেন। ট্রলারটি প্রায় দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ঘাটের কাছে গেলে হঠাং একটি স্পিড বোর্ড এসে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করে ট্রলারের ইঞ্জিন বন্ধ করে সবার কাছ থেকে গরু বিক্রির সব টাকা নিয়ে যায়। তারা কেউ ২টি, কেউ ৩টি বা ৪টি গরু বিক্রি করে সেই টাকা নিয়ে ফিরছিলেন। এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে জিঞ্জাসাবাদের জন্য ট্রলারের চালককে আটক করা হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.