রমযানের কাযা রোযা কতদিনের মধ্যে রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। শরীয়ত সম্মত অনেক কারণে সাওম মিস হয়ে যেতে পারে রমযানে। এই মিস যাওয়া দিন গুলোর কাজা আদায় করে নিতে হবে।
যত দ্রুত সম্ভব কাজা সাওম গুলো আদায় করা যায় তত ভাল। তবে আগামি রমযানের আগ পর্যন্ত সময় কাজা সাওম গুলো আদায় করার।

কাজা সাওম গুলো টানা আদায় করা সর্বোত্তম। তবে একটা একটা করে আদায় করলেও হবে। ‘আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন , আমার উপর রমযানের যে কাযা থেকে যেত তা পরবর্তী সাবান ছাড়া আমি আদায় করতে পারতাম না । (বুখারি ৩/৩১/১৭১)

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, “শাবান না আসা পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ (সা)-এর খিদমতে থাকার কারণে আমার পক্ষে কাযা আদায় করা সম্ভব হতো না।” (মুসলিমঃ ২৫৫২)

এখানে আমরা দেখতে পাই সাওমের কারণে স্বামীর সাথে কিছু কাজ করা যায় না। রাসুল (সা) এর দরকার পরবে কিন্তু স্ত্রী সাওমের কারণে সাড়া দিতে পারবে না। এটা উম্মুল মুমিনিনের নিকট কাজা সাওম আদায়ের চেয়েও জরুরি ছিল। কেউ যদি আগামি রমযানের পূর্বে কোন কারণ ছাড়াই কাজা আদায় না করে তবে। রমযানের পর সে কাজা আদায় করবে এবং মিস যাওয়া প্রতিদিনের জন্য একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে খাওয়াবে। প্রতিদিন হাফ সা পরিমাণ খাবার।


কেউ যদি কাজা আদায়ের পূর্বে মারা যায় তবে তার আত্মীয় তার হয়ে সাওম পালন করে দিবে। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ রমযানের কাযা দায়িত্বে থাকা অবস্হায় যদি কোন ব্যহক্ত মৃত্যুবরণ করে! তার পক্ষ হতে তার অভিভাবকগণ সিয়াম পালন করবে (মুসলিমঃ ২৫৫৩)

 

ব্যক্তি যদি পরবর্তী রমযানের আগে কাজা আদায় করল না। এবং পরের রমযান পার হবার পর আগের রমযানের কাজা পূর্ণ না করেই মারা গেল। তখন তার আত্মীয় তার হয়ে কাজা আদায় করবে। এবং উত্তরাধিকার হতে মিস যাওয়া প্রতিদিনের জন্য একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে খাওয়াবে। প্রতিদিন হাফ সা পরিমাণ খাবার।

আল্লাহ আমাদের ইবাদত পূর্ণ করতে সাহায্য করুন। আমিন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.