রংপুর মহানগরীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানামুখি তত্পরতা : খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম

রংপুর ব্যুরো:  রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগির সংখ্যা। গত ১২ দিনে হাসাপাতালটিতে ৪৫ ডেঙ্গু সনাক্ত রোগি ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে রংপুর সিটি মেয়রের নেতৃত্বে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। তবুও আতংক কাটছে না নগরবাসির।

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের পরিচালক ডা. মুলতান আহমেদ বিটিসি নিউজকে জানান, গত ১৯ জুলাই থেকে আজ বুধবার বিকেলে পর্যন্ত ৪৫ জন ডেঙ্গু রোগি হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ৭ জন রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নিজ বাড়িতে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকী ৩৮ জন ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদেরও বাড়িও রংপুর বিভাগে। এরমধ্যে ৫ জন শিশু রয়েছেন। হাসাপাতালে ডেঙ্গু রোগি পরীক্ষার যন্ত্রপাতি কেনার জন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব শীঘ্রই তা কেনা হবে।

এদিকে রংপুর সিটি করোপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার পক্ষ থেকে গত ২৫ জুলাই থেকে নগরীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানামুখি পদক্ষেপ চলছে। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সেসব পদক্ষেপ হাইকোর্টকে জানানোর জন্য কর্মকর্তারা ব্যস্ত সময় পার করেছেন আজ বুধবার।

সিটি মেয়রের একান্ত সহকারী সচিব কাজী জাহিদ হোসেন লুসিড বিটিসি নিউজকে জানান, ২৫ জুলাই থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধনের উপর সর্বোচ্চ জোড় দিয়ে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মেয়র, সকল কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ সকল বিভাগের সাথে সভা করে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম চলছে। নগরীতে শোভাযাত্রা, ব্যানার, ফেস্টুন সাটানো হয়েছে।

ইতোমধ্যেই ৪০ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ১০টি করে মাইকে চলছে প্রচারণা। প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ০৬ জন করে ৩৩টি ওয়ার্ডে  মোট ১৯৮ জন শ্রমিক ঝোপঝাড় এবং নর্দমা পরিস্কারের কাজ করছেন। নগরীর শ্যামা সুন্দরী খাল ও কে.ডি ক্যানালে প্রতিদিন ৫টি গুরুত্বপূর্ন স্থানে ১০ জন করে মোট ১০০ জন  শ্রমিক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন। সকল সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সকল ওয়ার্ডে ফগার মেশিন দ্বারা মশা নিধনের ঔষধ স্প্রে করা হয়েছেঅ হ্যান্ড স্প্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ড্রেন ও নালায় ঔষধ স্প্রে করা হচ্ছে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বেসরকারী ক্যাবল টিভি চ্যানেলে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ পালন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক বার্তা স্ক্রলে প্রচার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ী বাড়ী গিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন ও লিফলেট বিতরন করছেন। সকল মসজিদে ঈমাম সাহেব খুতবার আগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বার্তা প্রদান করেছেন।

ওয়েব সাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মশক নিধনের সকল কার্যক্রম প্রতিদিন প্রচার করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য পৃথক পৃথক ট্যাগ অফিসার নিয়োজিত করা হয়েছে।মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য  সিটি কন্ট্রোল রুম (হট-লাইন ০১৭৩৩-৩৯০১৫০) খোলা হয়েছে।

সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বিটিসি নিউজকে জানান, মশক নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক নানাবিধ পরিকল্পনা আমরা করেছি। সেসব মাঠে চলমান আছে। মানুষকে সচেতন করে ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষার করার জন্য করপোরেশন অন্যান্য প্রশাসনের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। তিনি সচেতন এবং শিক্ষিত সকল মানুষকে নিজের থেকে উদ্যোগী হয়ে ডেঙ্গু সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করার আহবান জানান।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.