রংপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় চক্র গ্রেফতার

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুর মহানগরীর জুম্মাপাড়ার একটি বাসা থেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার যৌন ব্যবসা চক্রের সদস্য হাবিবা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অপর গ্রেফতার রুপা, মিন্টু ও মোহনের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে তদন্ত কর্মকর্তা।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, গ্রেফতার হাবিবা রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। সেখানে সে দীর্ঘদিন থেকে ওই বাসায় দেহ ব্যবসা এবং দেহ ব্যবসার আড়ালে মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
তার তথ্য যাছাইবাছাই করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং তাদের নজরদারিত রাখা হয়েছে। তার কাছে বেশ কয়েকজনের নামও পাওয়া গেছে বলে জানান। এছাড়াও গ্রেফতার রুপা, মোহন ও মিন্টুকে  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, রংপুরের তারাগঞ্জের ইকরচালীতে এনজিও আশার মাঠ কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে রংপুর মহানগরীর পায়রা চত্বরের জুম্মাপাড়ার ওই বাড়িতে আনা হয় গত সোমবার রাত ৯ টায়।
এরপর রুমে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই একজন নারী উপস্থিত রাখা হয়। কিছুক্ষণ পরপরই তিনচারজন জন পুরুষ ওই ঘরে প্রবেশ করে। তারা শ্যামলচন্দ্রকে মেয়েটির সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করার অভিযোগে এনে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এসময় তারা শ্যামলের কাছে থাকা ২৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। বাকী টাকার জন্য চাপ দিলে শ্যামল তার একজন বন্ধুকে ফোন দেয়। ওই বন্ধু বিষয়টি পুলিশকে জানালে তাদেরকে টাকা নেয়ার জন্য সুপারমার্কেটের সামনে ডাকা হয়।
আগে থেকেই সেখানে পুলিশ সাদাপোশাকে অবস্থান নেয়। সেখানে টাকা নিতে আসলে পুলিশ নগরীর গুপ্তপাড়ার আবদুস সালামের পুত্র মেহেদী হাসান মোহন (২২) কে গ্রেফতার করে।
পরে তাকে নিয়ে গভীর রাতে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের নারী সদস্য নগরীর রাধাবল্লভ এলাকার হায়দার আলীর কন্যা হাবিবা আকতার (১৮), জুম্মাপাড়ার মোজাম্মেল হোসেন মিন্টু (২৯) ও তার স্ত্রী রুপা মোজাম্মেল (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় শ্যামলকে ভয়ভীতি দেখানো একটি চাকুও উদ্ধার করা হয়। শুধু তাই নয়, অর্থ হাতিয়ে নেয়ার সময় সেখানে নিজেদের ডিবি পুলিশও পরিচয় দেয় বলে জানান ওসি।
পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, এই চক্রটি নারীদের দিয়ে যৌন বাণিজ্যের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে ফাঁসিয়ে অর্থ আদায় করতো।
তাদের সাথে ঢাকায় গ্রেফতার যৌন ব্যবসায়ী পাপিয়ার অনলাইন ব্যবসার প্ল্যাটফর্ম ‘এসকট’ এর সাথে যোগাযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন বাসাবাড়ির ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.