রংপুরে প্রতীক বরাদ্দের পরই প্রচার প্রচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠেছে তিন ইউনিয়ন

রংপুর প্রতিনিধি: প্রথম দিনেই প্রার্থীদের পক্ষে তুমুল প্রচারণায় মাঠে নেমেছে ভোটার ও সমর্থকরা। দলীয় প্রতীকে সমর্থন পাওয়া প্রায়ই চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মাইক, পোষ্টার ও হ্যান্ডবিল তৈরী ছিল।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে জাতীয় পার্টির প্রতীক লাঙ্গল, আওয়ামীলীগের প্রতীক নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ফরমে লিখিত চাওয়া অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পরপরই প্রচারণার প্রথম দিনেই তুমুল প্রচারণা শুরু করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা।

গানের ছন্দে,হাত তালি দিয়ে মাইকে চলছে নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা। জমে উঠছে,সদর উপজেলার হরিদেবপুর, চন্দনপাট ও সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মাঠ।

আজ রোববার (০৪ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেন।

প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে মোটরসাইকে,আটো রিক্সা ও ভ্যানে মাইকসহ সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে তুমুল প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফুলবাবুর ভোটার ও সমর্থকরা। 

এ সময় তিনি বলেন, এই সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হলে, ভোটারদের ভোট গ্রহণের মাধ্যমে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হব।

অন্যদিকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে ঢোল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে  সাবেক জননন্দিত চেয়ারম্যান সোহেল রানার চিত্র ভিন্ন। তিনি বেশিরভাগ সময় পায়ে হেঁটেই সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এবং সবার কাছে ভোট ও দোয়া চাইছেন।

বিদ্রোহী কেন? হলেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি নৌকাকে ভালোবাসি ও সমর্থন করি কিন্তু নৌকার যিনি মাঝি হয়েছেন তাকে সমর্থন করিনা আর জনগণের ভালোবাসার কারণেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ঢোল প্রতীকে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় আজ অংশ নিয়েছি। ইনশাল্লাহ আমি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো।

অন্যদিকে থেমে নেই, আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রজনীগন্ধা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী  কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন স্বাধীন। এ সময় তিনি বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলাম এবার বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হব।

এছাড়াও চন্দনপাট ইউনিয়নের লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৯টি ওয়ার্ড চষে বেড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী রুহুল আমিন লিটন। তিনি বলেন, এবার চন্দনপাট ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির জন্য খুবই উর্বর। চন্দনপাটের আমজনতা আমার সাথে আছেন। অবশ্যই লাঙ্গল মার্কার বিজয় হবে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তিনটি ইউনিয়নে ১৬ জন চেয়ারম্যানপ্রার্থী। এর মধ্যে হরিদেবপুর ও সদ্যপুস্করিনীতে ৫ জন করে মোট ১০ জন প্রার্থী এবং চন্দনপাটে ৬ জন  রয়েছে।

এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৪৫টি পদের বিপরীতে ১২৭ জন ।সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৯ জনের বিপরীতে ৪৭ জন প্রার্থী। আগামী ২০ অক্টোবর রংপুর সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর প্রতিনিধি এস এম রাফাত হোসেন বাঁধন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.