যে কারণে ছত্তিশগড়ের একটি গ্রামে কেউ ভোট দিতে আসেনি

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ছত্তিশগড়ের বস্তার লোকসভা কেন্দ্রের কয়েকটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা গতকাল শুক্রবার ভোট দিতে আসেনি। বস্তারে মূলত মাওবাদীদের আধিপত্য বেশি। মাওবাদীদের সঙ্গে সম্প্রতি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ ঘটেছে। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েই একটি গ্রামের কেউ ভোট দিতে আসেনি বলে জানা গেছে।
তবে বস্তারসহ ছত্তিশগড়ের সবকয়টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলেই জানা গেছে।
বস্তারের পুভারতি গ্রাম মূলত একজন কট্টর মাওবাদী নেতার জন্মস্থান। তাই মাওবাদীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে গ্রামটির কেউই ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি।
বিজাপুর জেলার সীমান্তবর্তী সুকমা জেলার মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি পুভারতি হল প্রভাবশালী নকশাল নেতা হিডমার বাড়ি। তিনি বাস্তার অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলার মূল পরিকল্পনাকারী বলে ধারণা করা হয়।
শুক্রবার বস্তার লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং সেখানে ৬৭.৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
পুভারতি ভোট কেন্দ্রের বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) জাভা প্যাটেল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার ভোটের সময় পুভারতি গ্রামের কোনো ভোটার ভোট দিতে আসেননি।’
কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা ভয়ে ভোট দেননি।
পুভারতি ভোট কেন্দ্রটি (নং ৪) পুভারতি, তেকালগুদিয়াম ও জোনাগুদা এই তিনটি গ্রামের ভোটারদের জন্য। কেন্দ্রটি পুভারতি থেকে প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে সিলগার গ্রামে স্থাপন করা হয়েছিল।
পুভারতিতে ভোটার সংখ্যা ৩৩২, তেকালগুদিয়ামে ১৫৮ এবং জোনাগুদায় ১৫৭ জন্য। সব মিলিয়ে কেন্দ্রটির ভোটার সংখ্যা ৫৪৭ জন।
মোট ৩১ জন ভোটার পুভারতি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তাদের কেউই পুভারতি, তেকালগুদিয়াম এবং জোনাগুদা গ্রামের নয়।
বস্তার লোকসভা কেন্দ্রে ও সুকমা জেলার কন্টা বিধানসভা কেন্দ্রে ৫৪.৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে৷ মাওবাদীদের জাগরগুন্ডা এলাকা কমিটি পুভারতিতে পার্শ্ববর্তী গ্রামে ব্যানার লাগিয়ে জনগণকে ভোট বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছিল।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ছত্তিশগড় পুলিশ পুভারতিতে তার ক্যাম্প স্থাপন করে এবং এই পদক্ষেপটিকে বামপন্থী চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় অর্জন বলে মনে করা হয়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.